নাজনীন নাবিলা,ঢাকা থেকে।।
ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে হিজাব খুলে কলেজে প্রবেশ করতে বলায় চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ওই কলেজের এক অধ্যাপিকা।
পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানায়, চাঁদনি নামে ওই অধ্যাপিকা কর্ণাটক রাজ্যের জৈন পিইউ কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক। গত তিন বছর ধরে তিনি কলেজে চাকরি করছেন। এ সময় তিনি হিজাব পরেই ক্লাস করিয়েছেন। এতদিন হিজাব নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনো মন্তব্য করেনি।
বৃহস্পতিবার কলেজের অধ্যক্ষ কে টি মঞ্জুনাথ চাঁদনিকে হিজাব বা কোনও ধর্মীয় চিহ্ন থাকে, এমন পোশাক পরে ক্লাস নেওয়া যাবে না বলে জানায়।
চাঁদনি বলেন,‘এই নতুন সিদ্ধান্ত আমার আত্মমর্যাদায় আঘাত করেছে। তাই ইস্তফা দিলাম।’
হিজাব নিয়ে নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে কলেজ কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে লিখেন,‘আপনাদের এই অগণতান্ত্রিক কাজের আমি তীব্র নিন্দা করছি।’
তবে কলেজের অধ্যক্ষ দাবি করেছেন, তিনি চাঁদনিকে হিজাব না পরে আসতে বলেননি।
গত ডিসেম্বর মাসে কর্ণাটকে একটি কলেজের প্রিন্সিপাল কয়েকজন শিক্ষার্থীকে হিজাব পরে কলেজে প্রবেশের অনুমতি দেননি। তখন হিজাব পরার দাবিতে আন্দোলন করে কিছু শিক্ষার্থী। তাদের দাবি, তারা সবসময় হিজাব পরে ক্লাস করে। আগে কখনো এ নিয়ে শিক্ষকরা আপত্তি করেনি। হিজাব তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। ভারতের সংবিধান এ অধিকার নিশ্চিত করেছে।
পরে হিজাব পরার দাবিতে তারা বেঙ্গালুরুর হাইকোর্টে রিট করে। হাইকোর্টে শুনানি হলেও চূড়ান্ত কোনো রায় দেননি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো ধর্মীয় পোশাক পরা যাবে না, এমন শর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার শর্ত দিয়েছে হাইকোর্ট। অন্যদিকে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঠিক সময়ে হিজাব ইস্যুতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি