ফরজুন আক্তার মনি, (সম্পাদক ও প্রকাশক)।।ছোটো বেলা থেকে যাবতীয় অন্যায়ের প্রতিবাদ করে বেড়ে উঠেছি,কিন্তু সাংবাদিক জগতে এমন অমানবিক কলংক পৃথিবীর কোথাও কখনও দেখিনি। সাংবাদিকরা হলেন জাতির বিবেক।জাতি আমাদের কাছে আশা করে জগতের যত ধরনের অন্যায় আছে, তা আয়নার সামনে তুলে প্রতিরোধ ও বিচার পাওয়ার যোগ্য করে তুলতে। তা না করে এক শ্রেণির নামধারী সাংবাদিক নারী নির্যাতন,ধর্ষণ,বেটিবাজি,মাদকাসক্ত ও মাদকব্যবসা,চোরি ডাকাতি, খুন গুম, অপহরণ সহ চাঁদাবাজি করে সাংবাদিক শক্তি ব্যবহার করে বুক ফুলিয়ে বীরদর্পে চলছে এবং আশ্রয় প্রশ্রয়ে বিভিন্ন সেক্টরের কিছু জনপ্রতিনিধি।৫নং আউশকান্দি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান হারুনের নিকট গুটিকয়েক সাংবাদিক চাঁদাবাজি করলে,তাকে ইস্যু করে হসপিটাল ভাংচুর সহ মারামারি ঘটনা ঘটেছিল।তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্বব্যাপি ভাইরাল হলে হবিগঞ্জ থেকে সাংবাদিকরা আসেন এবং আমাকে যেতে বলেন।ঘটনা স্থলে যাওয়া মাত্রই নারী নির্যাতন সহ বিভিন্ন মামলার চার্জশীট ভুক্ত আসামি আজাদ সহ ৫ জন সাংবাদিক অপহরণের চেষ্টা সহ নির্যাতন করেছে। তা-ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্বে ভাইরাল হয়েছে। এমনকি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নবীগঞ্জ থানায় মামলাও হয়েছে। এসব প্রভাবশালী দের বিরুদ্ধে চার্জশীট দিতে তদন্ত কর্মকর্তাগণ বারবার হয়রানির স্বীকার হয়েও একটা নিরীহ বোনের ইজ্জতের বিচার পেতে আইনের আওতায় এনে আদালতে দাখিল করেছেন।হবিগঞ্জ নারী শিশু আদালত-৩, ৪/৫ জন সাংবাদিকের মিথ্যে স্বাক্ষীর প্রেক্ষিতে মিথ্যা স্বাক্ষীর বিরুদ্ধে একশনে না গিয়ে মামলা টি বাদীর অনুপস্থিতিতে ১ম তারিখেই খারিজ করে দিয়েছেন।এতে জনমনে প্রমাণিত হয়েছে সাংবাদিকরা বড় বড় অপরাধ করে বীরদর্পে চলাফেরা করতে কোনো বাঁধা নেই।একজন নারী সাংবাদিক কে দিবালোকে নির্যাতন করে আবার সাংবাদিকরাই মিথ্যে স্বাক্ষী দিয়ে বাঁচায়,এর চেয়ে বড় কলংক পৃথিবীর কোথাও নেই।তাহলে সাধারণ মানুষ কী তাদের আকাম-কুকাম এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পাবে?এতে প্রমাণিত মানুষের বিচারের বানী নীরবে নিভৃতে কাঁদে।সেই ঘটনা যদি আজ ঐ সব সাংবাদিকদের পরিবারে কোন নারীর সাথে হতো,তাহলে কি তারা মিথ্যে স্বাক্ষী দিতে পারতো? আমার মনে হচ্ছে সাংবাদিকরাই আইনের বিচার কে বিতর্কিত করে তুলবে এবং তা হলো সাংবাদিক জগতের এক কলংকিত অধ্যায়।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি