প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে
হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর আজাদ গণের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের ও তাদের বিরুদ্ধে রিভিশন মামলা অপেন হওয়ায় সাংবাদিক মনি কে মেরে ফেলার জন্য আজাদ গ্রুপ আবারও বেপরোয়া। অতিষ্ঠ হয়ে মনি হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন মনি এবং বিগত ভূঁইফোড় সংবাদ গুলো আবারও সামাজিক যোগাযোগ অপপ্রচার চালানোর প্রতিবাদ জানিয়েছেন মনি। নিচে উল্লেখ করা হল-
দৃষ্টি আকর্ষণ –
ফরজুন আক্তার মনিঃ –
জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান কে কটুক্তি ও অসম্মানের প্রতিবাদ ও একই ব্যক্তি সরকারি দুটো দপ্তরে দায়িত্ব পালনের বিষয়টি তুলে ধরায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগম ও তার বাহিনী আজাদগণ গত ২০১৯ সাল থেকে হামলা মামলা ও পত্রিকা সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার
চালিয়ে যাওয়ার বিচার চেয়ে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করায় ও আমার দায়ের করা মামলা অপেন হওয়ায়, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগম ও তার বাহিনী আজাদ গ্রুপ আবারও উত্তেজিত। তাদের গ্রুপের প্রকাশিত ভূঁইফোড় সংবাদ আনমনু গ্রামের দারগা মিয়ার পুত্র বাদল কে লেলিয়ে দিয়ে গত কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাকে মানসিক নির্যাতন করে যাচ্ছে। এমনকি গত মাসে সিএনজি চাপা দিয়ে আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে, এতে আমার জামা ছিড়ে যায়,মোবাইলের গ্লাস ফেটে যায়, হাঁটুতে আঘাত পাই।সঙ্গে সঙ্গে থানায় ফোন করি, অবশেষে সিএনজি স্টেশনের নেতারা ডাক্তারি করান এবং সমাধান করেন।অদ্য ১৫/৬/২৩ খ্রিস্টাব্দ গত ভূঁইফোড় সংবাদ দিয়ে বাদল একটি ভিডিও ফুটেজ তৈরি করে তার নিজের ফেইসবুকে পোস্ট করে ধারাবাহিক ভাবে আমার ও আমার পরিবারের মানসম্মান হানি সহ মানসিক নির্যাতন করে যাচ্ছে। আমি সাংবাদিক হয়ে সাংবাদিকদের ভুলভ্রান্তি তুলে ধরতে অনেক লজ্জা হচ্ছে, তারপরও অতিষ্ঠ হয়ে তুলে ধরলাম। আমার সাথে ঘটে যাওয়া আসল ঘটনা ছিল, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান কে কটুক্তি ও অসম্মান করেছিল আমার প্রতিপক্ষ। আমি কোন রাজনৈতিক দলে যুক্ত নয়, দেশের সন্তান হিসাবে শুধু প্রতিবাদ করেছি,আর সংবাদ মাধ্যমে দেখিয়ে দিয়েছি একই ব্যক্তি সরকারি দুটো দপ্তরে দায়িত্ব পালন করা বেআইনি। সাবেক মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সেলিনা পারভীনের স্বামীর বিরুদ্ধে কাজের মেয়েদের শ্লীলতাহানির ঘটনার সংবাদ অন্য সাংবাদিকও প্রকাশ করেছে। কিন্তু মহিলা শেষ পর্যন্ত তাদের সাথে যুক্ত হয়ে আমার পিছু নিয়েছেন।এর জের ধরে সবাই মিলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার মাকে ও আমাকে কটুক্তি করে লেখালেখি করায়, মাননীয় আদালতে মানহানীর মামলা দায়ের করি,যাহার সিআর মামলা নং ৪৪২/১৯.মামলার খবর পেয়ে আমাকে খুন করার জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠে তারা।বিষয়টি থানায় অবগত করাতে আসলে, ঐ দিনই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আমাকে কারাগারে পাঠানো হয়।হবিগঞ্জের কিছু পত্রিকা সত্য গুম করে আমার বক্তব্য ছাড়া ভূঁইফোড় সংবাদ প্রকাশ করে,আমি কারাগার থেকে বের হয়ে তার প্রতিবাদ জানিয়েছি।কোন সংবাদ প্রকাশ হলে চুপ থাকলে তা সত্যি, প্রতিবাদ জানানোর মানে হল মিথ্যে। সংবাদে ছিল ১০ টা সীমকার্ড, শতাধিক অশ্লীল ভিডিও সহ হাজারো নোংরা কথা ও ভূয়া সাংবাদিক, থানার প্রতিবেদনে এসব আসেনি। তাদের ষড়যন্ত্র মূলক মামলায় অসুস্থ থাকায়,এক তারিখ মিস হওয়ায় মাননীয় সাইবার ট্রাইবুনাল ওয়ারেন্ট জারি করেন এবং অসুস্থ অবস্থায় একদিন পরে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করিলে,মাননীয় আদালত জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন। এতে ষড়যন্ত্র মূলক মামলার কোন ডকুমেন্টস আদালতে দাখিল করিতে পারিনি। অবশেষে বন্দী থাকার কারণে আমার পক্ষে কোন আইনজীবী ছিলেন না,আমার সাজার রায় হয় ৭ বছর ও ৪ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১ বছর ৯ মাস, মোট ৮ বছর ৯ মাস।যুক্তরাজ্য পরিচালিত মানবাধিকার সংস্থা আমাকে আপিল করে বের করেন,আর কারাগারে থাকায় অনুপস্থিতির কারণে আমার দায়ের করা মামলা স্থগিত হয়।হবিগঞ্জের বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ ৬ বছরের সাজা ৪ লাখ টাকা জরিমানা।সাজার সংবাদটিও সঠিক ভাবে তুলে ধরতে পারলেন না,তাহলে এসব সংবাদ কর্মীদের স্মৃতি শক্তি এতই কম? আমার জানামতে সঠিক সংবাদ প্রকাশে যেসব পত্রিকা ব্যর্থ তা হলুদ।আমি কারাগারে বন্দী অবস্থায় জেনেছি মোট ৮ বছর ৯ মাস,তারা সংবাদ প্রকাশ করেছে ভূয়া ও পত্রিকার সম্পাদক গণ কে আদালত তল্লাশি করার অনুরোধ জানালাম এবং আপনাদের মতো সম্পাদকের ভূয়া সংবাদের কারণে আমার মা বাবা মারা যান ।এমনকি গত ১৯/৪/২৩ খ্রিস্টাব্দ মাননীয় আদালত বন্ধ ছিল, সেই দিন আদালতের বক্তব্য তুলে ধরে ঐ তারিখে আজাদ মুজিব মামলা থেকে খালাস পেয়েছে মর্মে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে, মাননীয় আদালতের নামে ভূয়া সংবাদ প্রকাশ করা কি অপরাধ নয়?এসব হলুদের ছড়াছড়ির কারণেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আমাদের উপর বরাদ্দ থাকা উচিত মনে করি।আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হিসাবে ন্যায় বিচারের অপেক্ষায় রইলাম।এসব ভূঁইফোড় সংবাদ গুলো যারা অদ্যবদী পর্যন্ত অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।নতুন সদস্য বাদলের জন্যও আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি,সে তাদের হয়ে যে কোন সময় প্রাণহানি ঘটাতে পারে,হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি,মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি