মায়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
ফরজুন আক্তার মনি
অভাগা যেদিকে নিঃশ্বাস ফেলে
সাগর-মহাসাগর শুকিয়ে যায় দেখে,
মোর অযাচিত ভালোবাসায়,
দেহ মন আক্রান্ত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায়।
যে ভালোবাসা সারাক্ষণ কাঁদায় মোরে,
তার জন্য কারাগারে যেতে ভয় কিসের?
মোর কারাবরণ যদি শান্তি যোগায়,
মোর কারাবাসই জীবনের অনন্ত সুখ।
মমতার ছুঁয়া পেতে অস্থির মনে,
হাটে গিয়েছিলাম তার খোঁজে।
রাস্তায় অপেক্ষায় ছিলাম অতি আগ্রহে,
হাটে যাওয়ার মাধ্যম ছিল বন্ধ
সেই কাঙ্ক্ষিত মায়ার খনিতে
ডিজিটাল মাধ্যম বারবার চেষ্টার ফলে
কঠিন সুর চলে আসে,
আহত পিপাসিত অভাগার কানে!
মমতার হাটে প্রবেশ ভাগ্যে জুটলো না,
হাজারো মমতার ভীড়ে
ভাগ্যে জুটে হাসপাতাল, ডাঃ ঔষধ।
ব্যথায় চটপট দেখে মহতীদের দৃষ্টি কাড়ে,
বাঁচানোর চেষ্টায় হয় বেহুশ,
বাজল না সেই হাটে ভালোবাসার সুর।
ভালোবাসায় যতটুকু হল উপকার,
তার চেয়ে পাঁচ গুণ হল অপকার।
চোখে হল খালবিল নদী সাগর
কাঁটা অঙ্গে হল গুরুতর মর্দন
কত অঙ্গে রক্ত ঝরে হল জখম
না চিনলাম ভালোবাসার রকম।
যে ভালোবাসা বাঁচালো মোরে
সেই ভালোবাসা যদি মেরে ফেলে মোরে,
কষ্ট থাকবে না এ ধরাতে।
অবহেলার কাঁটার আঘাত
যতই করে মোরে তাড়িত,
থাকবে বুক ভরা ভালোবাসা শ্রদ্ধাভরা হৃষ্ট।
যতই করো মোরে নিন্দা
দয়ালের নিকট করব প্রশংসা।
“ও আমার মায়ার খনি ”
আমি তোমার নিকট শ্রেষ্ঠ ঋণী
ইতিহাসের পাতায় রচিত সৃষ্ট প্রেম,
ওপারে চলে গেলে দৃষ্টিতে রেখো।
২৩/০২/২৪ খ্রিস্টাব্দ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি