ফরজুন আক্তার মনিঃ- হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ভয়াবহ দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, এমনকি তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিক কে লোকজন দিয়ে হুমকি ধামকির অভিযোগ উঠে ঐ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।
জানা যায়, নবীগঞ্জের ১১ নং গজনাইপুর ইউপির কায়স্থ গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শেফালী আক্তারের বিরুদ্ধে ভয়াবহ দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ আনেন এলাকা বাসী।এ নিয়ে শিক্ষা অধিদপ্তরেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।গত ২৪/৯/২৩ খ্রিস্টাব্দ ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের স্লিপ, রুটিন মেইনটেন্সের ও খেলনার বরাদ্দের কাজের তথ্য সাংবাদিক জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষিকা শেফালী আক্তার তথ্য না দিয়ে তার লোকজন দিয়ে হুমকি ধামকি প্রদান করেন। এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অদ্য ৮/১০/২৩ খ্রিস্টাব্দ সাংবাদিক এলাকায় প্রবেশ করিলে লোকজন জানান,প্রধান শিক্ষিকা শেফালী আক্তার সারাক্ষণ স্কুলে ফোনে কথা বলেন, সরকারি বই টাকার বিনিময়ে অনেকের নিকট বিক্রি করেন,স্কুলে গাইড বই বিক্রি করেন,স্কুলে নিয়মিত আসেন না,উপবৃত্তির টাকাও অনেক ছাত্রছাত্রী দুই থেকে আড়াই বছর যাবৎ পায়নি,প্রত্যয়ন পত্রের জন্য ডাবল টাকা নেন এবং বাচ্চাদের জন্ম তারিখ জানতে গেলেও টাকা ছাড়া জানাননি।এমনকি দীর্ঘদিন যাবৎ বিদ্যালয়ে ওয়াশরুম ও টিউবওয়েলের ব্যবস্থা করে দেননি। বাচ্চারা স্কুল থেকে দৌড়াইয়া বাড়িতে গিয়ে প্রস্রাব পায়খানা করে।ছাত্রছাত্রীরা জানায়,আমাদের স্কুলে ওয়াশরুম নেই, টিউবওয়েল নেই,আমরা বাড়িতে গিয়ে প্রস্রাব পায়খানা করি।আমাদের প্রধান শিক্ষিকা নিয়মিত স্কুলে আসেন না,যেদিন আসেন সারাদিন ফোনে কথা বলেন,স্কুলে গাইড বই বিক্রি করেন,আমাদের স্কুলে অনেক বছর যাবৎ খেলনা নেই।আমাদের প্রতিদিন পাঁচটা ক্লাসের মধ্যে মাসুম স্যার গণিত ক্লাস নিয়মিত করান।তেমন পড়াশোনা স্কুলে হয়নি।টিকাকার মৃত মানিক উল্যার ছেলে মোঃ খালেদ মিয়া জানান,আমি ২৬ হাজার টাকা মজুরী নিয়ে স্কুলের একটি কাজ সম্পাদনা করেছি।শেফালী ম্যাডাম দেড় লাখেরও উপরে আমার নামে বিল লিখেন।মৃত আক্তার মিয়ার ছেলে লাল মিয়া জানায় শেফালী ম্যাডামের অনিয়মে অতিষ্ঠ হয়ে আমার বাচ্চা স্কুল থেকে নিয়ে অন্য স্কুলে ভর্তি করেছি।স্কুলে সরজমিনে তদন্ত করে দেখা যায় ওয়াশরুমে তালা ঝুলানো মেরামত নেই,প্রতিটি স্কুলে রুমে রুমে গুণীজনেদের বাণী ওয়ালে লেখা এবং বঙ্গবন্ধু কর্ণার আলাদা সাজানো গুছানো। কিন্তু কায়স্থ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্ণার নেই।প্রধান শিক্ষিকা শেফালী আক্তারের বক্তব্য নিতে চাইলে তিনি বক্তব্য দিবেন না দাপটে বলে জানান এম এ আহমেদ আজাদ ও তার গ্রুপ দিয়ে পিটিয়ে পাহাড়ে উঠাবেন। সাংবাদিক অপেক্ষা করেও বক্তব্য আনতে পারেননি এবং তাড়াতাড়ি বিদ্যালয় ত্যাগ করেন।তিনি বিদ্যালয়ের বারান্দায় ঘন্টার পর ঘন্টা ফোনে আলাপ করিতে দেখা যায় এবং সকাল ১২ টার আগেই বিদ্যালয় ত্যাগ করতে দেখা যায়।সহকারী শিক্ষক পারভীন বেগম ও মাসুম চৌধুরী জানান,আমাদের বিদ্যালয়ে উন্নয়ন মূলক কোন কাজ হতে আমরা দেখিনি এবং প্রায় পাঁচ বছর যাবৎ বিদ্যালয়ে কোন খেলনা কিনতেও দেখিনি।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি