কবি
জান্নাতুল ফেরদৌস আলেয়া
গোপালের বাঁশির করুণ সুরে
ব্যথিত খোকা নীরব হয়ে ভাবে,
কী করে মানুষের
দুঃখ ঘুচানো যাবে!
তোমার খাবার, তোমার চাদর,
তোমার বৃষ্টির ছাতা,
নিজের মাথা উদোম করি
ঢেকেছো অন্যের মাথা।
ভোগের কথা ভাবনি কখনো,
জীবনও রেখেছো বাজি,
সবার চিন্তা মাথায় নিয়েছো
নিজে গেছো সব ত্যাজি।
এখন তোমার ছায়ায় বসে দোল খায়,
তোমারেই মারে ঘা,
দীর্ঘদিন নিড়ানি বিহীন
বহুত বেড়েছে আগাছা।
পদ্মাসেতুতে আজও ঢুঁস মারে
কোন শুকুনের আত্মা!
এখনো তাদের মন ও মগজে
পৌঁছেনি সে বার্তা !!
স্বাস্থ্যখাত অসুস্থ হয়ে
আইসিইউতে আছে,
তোমার হাতের স্পর্শ ছাড়া
কেউ কী সুস্থ বাঁচে!
তোমার মজুর আজো জিম্মি
মুনাফাখোরের হাতে,
কাকডাকা ভোর থেকে রাত অবধি
শুধু খেটে মরে পেটে ভাতে।
বার বার কেবল স্বপ্ন বুনে
ঝরায় মাথার ঘাম,
পন্ঞ্চাশ বছর পেরিয়েও কৃষক
পায়নি ন্যায্য দাম।
ভাষার নামে কিনেছি যে দেশ
বিকায় ধর্মের নামে,
তোমার বিশ্বাস পুরে পাঠায়
সাম্প্রদায়িক খামে।
জনগণ আজো হয়নি মালিক,
এখনো রয়েছে প্রজা,
বৃটিশ, জমিদার নতুন রূপে
দিচ্ছে নতুন সাজা।
৭ই মার্চে বলেছো তুমি,
সকল শ্রেণীর কথা,
সংখ্যাগরিষ্ঠ বড় কথা নয়
বড় কথা ন্যায্যতা।
তুমি হারা তোমার মেয়েরা
ভিখেরীর মতো করে,
চোখের জলে ভিজিয়েছে বুক
দেশ হতে দেশান্তরে।
কলকাতার এক টিনের ঘরে,
থেকেছে কায়ক্লেশে,
মনের গহীনে একটি আশা
কী করে ফিরবে দেশে!
আজ সময়ের নৌকায় চড়ে
অনেকেই দিচ্ছে পাড়ি সুখের নদী,
তখন ক’জন পেয়েছে স্বজন!
সাথে ছিলো যাঁরা নিরবধি!
তোমার কী ছিলো?
ধানমন্ডিতে দু’তলা একটি বাড়ি,
তোমার নেতারা কাঁড়ি কাঁড়ি
টাকায় বিদেশে জমায় পাড়ি।
তোমার নামে সুবিধা লুটে,
করে তোমারই সম্মান হানি,
তোমার স্থলে কী করে বল
তাদেরে নেতা মানি!
অর্থনৈতিক, সামাজিক সুবিচার
শুধুই সংবিধানে,
সমতা নেই, পাহাড়, টিলা
উঁচু নীচু সবখানে।
ব্যক্তি মালিকানার কোন সীমা নেই,
যে পারে যতোটা লুটে,
তোমার আদলে নেতা সেজেছে
মানুষ হয়নি মোটে।
ভাবতেও পারোনি তোমার লোকই
তোমারে করবে নিঃস্ব,
কৃতঘ্নতার এমন নজীরে
স্তম্ভিত গোটা বিশ্ব।
পথে, ঘাটে, মাঠে, সারা তল্লাটে
তোমার সমার্থক শব্দ খুঁজি,
সব দেখি ফাঁকা, আবরণে ঢাকা,
“মুজিব ” মানে শুধু তোমাকেই বুঝি।
“””'””””””””””””””””””””‘””””””””””””””
“”””””””” ১৫ আগস্ট, ২০২১””””””””
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি