মোঃ শাহিন সরকার (রংপুর প্রতিনিধি) –
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ১১ নং গজনাইপুর ইউপির কায়স্থ গ্রামের সাংবাদিক ফরজুন আক্তার মনি হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর গত ০৪/০৭/২৩ খ্রিস্টাব্দ একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।অভিযোগ সুত্রে ও যোগাযোগ মাধ্যমে জানা যায়, আজাদ ও তার গ্রুপের অত্যাচার ও নির্যাতনে মনি
মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছেন। গত ২৫/০৪/২৩ খ্রিস্টাব্দ এম এ আহমেদ আজাদের প্রতারণা, সে ও তার গ্রুপের নির্যাতন, হয়রানি,হামলা মামলা,এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম , পত্রিকা সহ অপপ্রচারের বিচার চেয়ে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করা হয়েছে এবং জানাজানি হওয়ার পর গত ২১/০৫/২৩ খ্রিস্টাব্দ নবীগঞ্জ ভিতর বাজার গোল্ডেন প্লাজার সামনে একদম কিনারে আম ক্রয় করা অবস্থায় একটি সিএনজি ছিল আক্রমণাত্মক, তার পিছনের চাকার উপর চিকন রড বাঁকানো, উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে মনি’র উপর দিয়ে উঠায়।সে দ্রুত দোকানের সিঁড়িতে উঠলেও রড তার জামা ছিদ্র করে ঢুকে টেনে মাটিতে ফেলে এবং পায়ে, কোমরে আঘাত পায়,মোবাইলের গ্লাস ফেটে যায়।সঙ্গে সঙ্গে থানায় ফোন করা হয় এবং বিষয়টি শ্রমিক নেতারা চিকিৎসা করিয়ে সমাধান করে দেন।এ ঘটনার পর থেকে আনমনু গ্রামের দারগা মিয়ার পুত্র ফেইসবুক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন নেতা জনপ্রতিনিধি কে জড়িয়ে সাংবাদিক মনি’র বিরুদ্ধে মিথ্যে বানোয়াট মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করে মানসিক নির্যাতন করে যাচ্ছে এবং সে মানসিক ভাবে অসুস্থতায় ভুগছেন। সংবাদ ও ভিডিও ফুটেজ দেখে প্রমাণ হচ্ছে আজাদ তাকে লেলিয়ে দিয়েছে।সাংবাদিক মনি আরও জানান
বিগত ২০১৯ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে অসম্মান ও কটুক্তির প্রতিবাদ এবং বিভিন্ন অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকায় আমার মা কে ও আমাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কটুক্তি করে আজাদ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগম সহ তার গ্রুপ ।এ বিষয়ে হবিগঞ্জ আদালতে গত ১৭/৯/১৯ খ্রিস্টাব্দ একটি মানহানির মামলা দায়ের করার সংবাদ পেয়ে আমাকে মেরে ফেলার জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠে আজাদ গ্রুপ,আমার মোবাইলে কল রেকর্ড তল্লাশি করিলেও অনেক প্রমাণ পাওয়া যাবে, এমনকি অনেক ভিডিও ফুটেজ আমার মোবাইল ও গোপন ভিডিও ক্যামেরা জব্দ করে গুম করা হয়েছে। আমি গত ২২/৯/১৯ খ্রিস্টাব্দ নবীগঞ্জ থানায় বিষয়টি জানাতে আসিলে, ঐ দিনই আমাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা করে মোবাইল গোপন ভিডিও ক্যামেরা জব্দ করে ২৩/৯/১৯ খ্রিস্টাব্দ পাঠানো হয়।কারাগার থেকে বের হওয়ার পর সংবাদ সংগ্রহ করিতে আউশকান্দি অরবিট ডায়াগনস্টিক সেন্টার যাওয়া মাত্রই আজাদ তার গ্রুপ নিয়ে গণধর্ষণের উদ্দেশ্যে আক্রমণ চালিয়ে গলার চেইন ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। আশপাশের মানুষ উদ্ধার করে,ঘটনার ভিডিও ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করেন, থানাপুলিশ সরজমিনে এসে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রেকর্ড করিলেও, আসামিরা প্রভাবশালী থাকার কারণে গ্রেফতার হয়নি,যাহার নারী শিশু মামলা নং ৯০/২০। এমনকি আদালতে মিথ্যা স্বাক্ষী খাঁড়া করে মামলা খারিজও করায়।তাদের দায়ের কৃত মামলায়, তাদের গ্রুপের লোকজন দিয়ে মিথ্যে স্বাক্ষী করিয়ে আমার বিরুদ্ধে সাজার রায় করায়।আমি এতিম সন্তান, বিচার যেন নিরবে নিভৃতে কেঁদে কেঁদে সাগরে না ভাসে, সেই আশায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়,আইন মন্ত্রণালয়,হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর মিথ্যে ষড়যন্ত্র মূলক মামলার সমস্ত ডকুমেন্ট সহ হামলা মামলা, হয়রানি ও যাবতীয় অপপ্রচারের বিচার চেয়ে এবং আমি মৃত্যুর ঝুঁকিতে আছি,এমনকি তাদের মানসিক নির্যাতনে আমার মা বাবা মারা যান, তা আমি লিখিত ভাবে জানিয়েছি।আমাকে অপহরণ, মেরে ফেলার চেষ্টার গোপন ভিডিও ফুটেজও আছে। থানায় জিডি করিলেও প্রভাবশালী গ্রুপ তাদের পক্ষে নথিভুক্ত করে রেখেছে। আমি মারা গেলে যেনো কোন প্রমাণ না থাকে।তিনি দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ নিউজ পোর্টালের সম্পাদক ও প্রকাশক,ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্ট এন্ড হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের হবিগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ও নবীগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দীর্ঘদিন ধরে পালন সহ জাতীয় ও লোকাল পত্রিকায় কাজ করে যাচ্ছেন।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি