ফরজুন আক্তার মনি, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নবীগঞ্জ জে কে মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাট প্রাঙ্গণে নানা আয়োজনে আনন্দ পূর্তি ও বিজয় র্যালীর মধ্য দিয়ে দিন ব্যাপি মহান বিজয় উদযাপিত হয়েছে।ভোরে জাতির সূর্য সন্তান ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও দুই লক্ষ নির্যাতিত মা বোনদের স্মরণে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন উপজেলা প্রশাসন, থানা প্রশাসন,রাজনৈতিক সংগঠন, বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষকবৃন্দ, সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।বাঙালির ইতিহাসে ১৬ ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস একটি স্মরণীয় দিন।দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম এবং আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের হাত থেকে ভারতীয় উপমহাদেশ স্বাধীন হলেও এই ভুখণ্ডের বাঙালির স্বাধীনতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার আসেনি।বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা, বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ধারাবাহিক আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জাতি ১৯৭১ সালে উপনীত হয়।দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। এই বিজয় অর্জনে মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের।মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মদান আর দুই লাখ মা-বোনের ত্যাগ-তিতিক্ষায় এই বিজয় অর্জিত হয়।১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ যার কাছে যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে’ খ্যাত কালজয়ী ভাষণ ও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জাতিকে চূড়ান্তভাবে উদ্বুদ্ধ করে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন প্রভূত ঘটনা প্রবাহের মধ্য স্বাধীনতা অর্জনের চূড়ান্ত লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওঠে বাঙালি জাতি।যতদিন পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ থাকবে, বাঙালি জাতি থাকবে ততদিন এই দিনটির গুরুত্ব ও সম্মান অক্ষুণ্ন থাকবে।বাঙালি জাতির ইতিহাস লড়াই-সংগ্রামের ইতিহাস, আত্মত্যাগের ইতিহাস।১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ এ বিজয়ের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি লাল সবুজের পতাকার বাংলাদেশ।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি