ফরজুন আক্তার মনি ॥নবীগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে সহপার্টিদের হাতে খুন হয়েছে কলেজ ছাত্র সৈয়দ তাহসিন (১৯)। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে শহরের ওসমানী সড়কস্থ চৌদ্দ হাজারী মার্কেটের সামনে। এ ঘটনায় শহর জোরে উৎকন্ঠা ও আতংক বিরাজ করছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনার তদন্তসহ জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। ইতিমধ্যে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত ৫/৭ জনের নাম সনাক্ত করেছেন। তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ করা যাচ্ছেনা বলে জানান পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে বাহুবলের সার্কেল এসপি আবুল খয়েরসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।বিভিন্ন প্রাপ্ত সুত্রে জানাযায়, মঙ্গলবার সকালে নবীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজে কলেজ ছাত্র মান্না তার অপর সহপার্টি উমর ফারুক প্রান্তিককে দেখে থুথু পেলে। প্রান্তিক হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলমান হয়ে খনকারীপাড়া গ্রামে বিয়ে করেন। থুথু পালানোর ঘটনাটি প্রান্তিকের সহকর্মী সৈয়দ রাইসুল হক তাহসিনসহ কয়েকজনের মধ্যে জানাজানি হয়। এনিয়ে সৈয়দ তাহসিন ও মান্নার মধ্যে বাদানুবাদ হয়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাহসিন নতুন বাজারস্থ রাজা কমপ্লেক্সের পিছনে ফুড কর্ণারে বসে চা খাচ্ছিলো। এ সময় মান্না ও তার দলবল নিয়ে সৈয়দ তাহসিনের উপর চড়াও হয়। আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। রাত সাড়ে ৯ টার দিকে পুণঃরায় ওসমানী রোডস্থ চৌদ্দ হাজারী মাকের্টে মান্না ও তার সহকর্মীরা ও তাহসিনের মধ্যে সংঘর্ষ বাধলে সৈয়দ তাহসিন (১৯), মান্না (১৮) গুরুতর আহত হয়।এক পর্যায়ে হাসপাতালে যাবার পথে মান্নাগংরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ইন্টার টেস্টের পরীক্ষার্থী সৈয়দ তাহসিনকে ছুরিকাঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে মূমূর্ষ অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসারত অবস্থায় রাত আড়াই টার দিকে সৈয়দ তাহসিন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।এ খবর এলাকায় পৌছলে হামলাকারী দূর্বৃত্তরা ঘা ঢাকা দেয়।পুলিশ তাদের গ্রেফতার অভিযান চালিয়ে কাউকে বাসায় পাওয়া যায়নি।এছাড়া আহত মান্না ওসমানী সড়কের হেভলু আহমদের ছেলে। তাকেও সিলেট চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। নিহত সৈয়দ তাহসিন বানিয়াচং উপজেলার কালাইনজুড়া গ্রামের সৈয়দ রাজা মিয়ার ছেলে এবং নবীগঞ্জ সরকারী ডিগ্রী কলেজের ইন্টার টেস্ট পরীক্ষার্থী। বর্তমানের সে ছালামতপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় পরিবারের সাথে বসবাস করতো।তার মৃত্যুতে তাহসিনের মা বারবার মুর্চা যাচ্ছিলেন।তার আহাজারিতে এলাকার বাতাস ভারি হয়ে উটে।এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ তদন্তে নামে।সন্ধিগ্ধ আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি