নবীগঞ্জে যৌতুকলোভী স্বামী জামিনে এসেই বাদীনিকে প্রাণনাশের হুমকী
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি
নবীগঞ্জে স্ত্রী নির্যাতনের দায়েরী মামলায় জামিনে এসেই মামলা তুলে আনার জন্য প্রাণনাশের হুমকী দিচ্ছে যৌতুকলোভী স্বামী শামীম মিয়া। গত ৯ নভেম্বর সকালে বিজ্ঞ আদালত থেকে অস্থায়ী জামিনে আসেন শামীম। এর আগে দীর্ঘদিন পলাতক ছিল সে। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা, পরবর্তীতে মাল ক্রোকের আদেশ থাকায় সে জামিনের আবেদন করলে অস্থায়ী জামিনে আসে।
সুত্রে জানাযায়, ২০১৯ সালের ১লা মে সন্ধ্যায় যৌতুক লোভী ও বিয়ে পাগল শামীম মিয়া তার ৪র্থ স্ত্রী আসমা বেগমকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি কিবরিয়া চত্ত্বরে প্রকাশ্যে সিএনজি অটোরিকশা থেকে নামিয়ে বেধড়ক প্রহার ও নির্যাতন করে রক্তাক্ত জখম করে। এ ঘটনায় বিগত ৬ই মে ২০১৯ইং সনে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ আদালতে ১১(গ) ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন প্রদান করেন। পরবর্তীতে শামীম মিয়া হাজির না হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করেন। পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে সে আত্মগোপনে থাকে। উক্ত শামীম উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের দেওতৈল গ্রামের সাজন মিয়ার পুত্র। সে বিয়ে পাগল ও যৌতুকলোভী বলে এলাকায় খ্যাত রয়েছে। পেশায় গাড়ী চালক শামীম মিয়ার নির্যাতের শিকার আসমা বেগম জানান, তিনি তার স্বামীর ৪র্থ স্ত্রী, তাকে প্রায় ৩ বছর আগে পূর্বের বিবাহ গোপন রেখে বিয়ে করেন শামীম। বিয়ের পর থেকে শামীম বিভিন্ন ভাবে তার মা-বাবার কাছ থেকে যৌতুক হিসেবে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা নিয়েছেন। এর পরেও গত মাস খানেক পূর্বে আবারো একটি সিএনজি অটোরিকশা ক্রয়ের কথা বলে আরো ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করেন শামীম। এই টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় শামীম ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারপিট ও নির্যাতন করেন। ফলে তিনি হবিগঞ্জ নারী শিশু আদালতে শামীমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এদিকে অস্থায়ী জামিনে এসে এই মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য আসমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে শামীম। এতে আতংক ও উৎকন্ঠার মধ্যে জীবন যাপন করছেন বাদীনি আসমা বেগম। এ ব্যাপারে তিনি নবীগঞ্জ থানায় সাধারন ডায়েরীসহ জামিন বাতিলের আবেদন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে এই প্রতিনিধি জানান।
প্রেরক
এটিএম সালাম
নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি
মোবাইল ঃ ০১৭১৪-৪৮৪৫৪৮
তারিখ ঃ ১৪-১১-২০২১ইং
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি