স্টাফ রিপোর্টারঃ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলাধীন ১১নং গজনাইপুর ইউপির কায়স্থ গ্রামের স্বপ্ন বেগমের সাথে গত ৩য় ধাপের ইউপি সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে কথা-কাটাকাটির সুত্র কে কেন্দ্র করে একই গ্রামের মামা-ভাগনে সহ চার জনের বিরুদ্ধে আপন মেয়ে দিয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে স্বপ্ন বেগমের আপন ভাই আবুল মিয়া।ভুক্তভোগীরা সঠিক তদন্তে প্রতিকার চেয়ে ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্ট এন্ড হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন হবিগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি বরাবর গত ২৪/০১/২২ ইং তারিখ একটি লিখিত আবেদন দাখিল করে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,নবীগঞ্জের ১১ নং গজনাইপুর ইউপির ২ নং ওয়ার্ড কায়স্থ গ্রামের বাসিন্দা ছুরুক মিয়ার স্ত্রী স্বপ্না বেগম গত তৃতীয় ধাপের ইউপি সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়েছে।নির্বাচনী প্রচারণা কালে একই গ্রামের মৃত আফাস উদ্দিনের ছেলে সাকিন মিয়ার সাথে কথা-কাটাকাটি হয় এবং এক পর্যায় সঙ্গে সঙ্গেই সমাধান হয়েছে।সাকিন গণ স্বপ্না বেগম কে ভোট না দিয়ে রাহেনা বেগম কে ভোট দেয়।স্বপ্না বেগম পরাজিত হয়ে মামা-ভাগনে চারজন কে আসামি করে গত ০৩/০১ ২২ ইং তারিখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যাল হবিগঞ্জ আপন মেয়ে দিয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে স্বপ্না বেগমের আপন ভাই আবুল মিয়া।গত ০৪/১২/২২ ইং তারিখ মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়ন সংস্থায় একই ঘটনায় মামা-ভাগনে ২ দুজন কে আসামি করেও অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।এসব করার পরও ভুক্তভোগী গণ কে হাটবাজারে মারধর সহ তাদের ছেলেমেয়েদের কে স্কুল-মাদ্রাসায় যেতে বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগ তুলে ভুক্তভোগীরা।এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আঃ সালাম সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রতিকার চেয়ে গত ২৪/০১/২২ ইং ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্ট এন্ড হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন হবিগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ফরজুন আক্তার মনি বরাবর একটি লিখিত আবেদন করে।গতকাল ২৮/০১/২২ ইং তারিখ রোজ শুক্রবার পাঁচ মৌজার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ সরেজমিনে তদন্তে যান।পাঁচ মৌজার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ উক্ত গ্রামের সভাপতি ও স্বপ্না বেগমের গোষ্ঠীর বিশিষ্ট মুরব্বি মোঃ মুতি মিয়া জানান আমাদের গ্রামে ধর্ষণের মতো কোনো জঘন্য ঘটনা ঘটেনি এবং ভুক্তভোগী গণের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পরও স্বপ্না ও তার লোকজন দিয়ে ভুক্তভোগীদের উপর আক্রমণ চলমান।এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।ভুক্তভোগী জানান,আমরা যদি ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ করি আদালতে আমাদের উপযুক্ত হোক আর যদি না করি স্থানীয় প্রশাসন সহ মানবাধিকারের সহযোগিতা কামনা করছি।এ বিষয়ে স্বপ্না বেগম ও তার স্বামী ছুরুক মিয়া কে জনসম্মুখে তাদের বক্তব্য শুনানোর এবং গ্রামবাসীর বক্তব্য শুনতে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তারা আসেনি।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি