ষ্টাফ রিপোর্টার।
বাংলাদেশের কমলগঞ্জ ও ভারতের ত্রিপুরার কমলপুরের মানুষের সেতুবন্ধনে কুরমাঘাট সীমান্তে সীমান্ত হাট চালু হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে দুই দেশের সীমান্তে নো-ম্যানস ল্যান্ডের ২ দশমিক ৭২ একর ভূমিতে সীমান্ত হাটের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি, ভারতের দলটির নেতৃত্ব দেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘সীমান্ত হাট চালুর ফলে দু দেশের মানুষের মাঝে পারস্পারিক মেলবন্ধন ও সৌহার্দ্যের সম্পর্ক সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি চাহিদামাফিক পণ্য বিপণনের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এতে বাণিজ্যিক উন্নতির সাথে সাথে চোরাচালান অনেকাংশে কমে যাবে, পর্যটনের ক্ষেত্র প্রসারিত হবে। শুল্কমুক্ত আমদানি-রপ্তানির মাধ্যমে দু দেশের ব্যবসায়ীরা বেশী লাভবান হবে।’
বিপ্লব কুমার দেব বলেনম , ‘ইউরোপের দেশগুলোর মতো বাংলাদেশ ও ভারত একত্রে বাণিজ্যিক উন্নয়নে কাজ করছে। এতে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও দৃঢ় হবে।’
কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে কুরমাঘাট সীমান্তের ১৯০৩/৩৩ নম্বর এস পিলারের কাছে এবং ত্রিপুরার ধলই জেলার কমলপুর মোড়াছড়ার এ হাট নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী বনজ কুমার দেব, মৌলভীবাজার-৪ (কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল) আসনের সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দুরাইস্বামী, সহকারী হাইকমিশনার মিরাজ কুমার যশোওয়াল, জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রুমানা ইয়াসমীন, কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান, উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সুমাইয়া আক্তার, স্থানীয় ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুলেমান মিয়াসহ দুদেশের বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকতা ও রাজনৈতিক নেতারা।
২০১১ সালের জুলাই মাসে কুড়িগ্রাম জেলার বালিয়ামারি সীমান্তে সোনাডরি নদের তীরে প্রথমবারের মতো সীমান্ত হাট শুরু হয়।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি