ফরজুন আক্তার মনি, (সম্পাদক ও প্রকাশক)।।অনুসন্ধানে দেখা যায়, একটি অনলাইন নিউজে একজন সম্পাদকের প্রায় ১৫৭ টাকা খরচ হয়, প্রিন্টে আরো বেশি।কিছু মানুষের নিকট সেই নিউজ তুচ্ছ এবং ফেইসবুকে একটু তেল মারলে মনে করে আকাশচুম্বী ধন।যত সাংবাদিক বিভিন্ন মহল কে অন্যায় ভাবে নির্যাতন করে আমাদের মতো স্বচ্ছ সাংবাদিক জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে রক্ষা করে,বাস্তবে নির্যাতিত মহলটি ঐ সাংবাদিক দিয়ে বিজ্ঞাপন প্রকাশ সহ বিভিন্ন ভাবে চাঁদা দেয়।ঘুরেফিরে বটের তল।জাতীয় ফল দিয়ে জাতীয় পর্যায় সম্মান রক্ষার পর পুজা করে পুতুলের।জীবন দিয়ে অপরাধীর কবল থেকে রক্ষা করলে পুজায় লিপ্ত অপরাধীর।কোনো মানবিক ডাক্তার ফ্রী চিকিৎসা করিলে বলে ডাক্তার ছোটো,তাই ফি লাগেনি।কাউকে কাঁধে করে রাস্তা বা নদী পার করলে বলে লোকটি কুলি বা মাঝি।বিপদে সহযোগিতা করিলে বলে ভাড়াটিয়া।অযাচিত সাহায্য করলে,বলে স্বার্থ খুঁজছে।মানবিক কারণে চেয়ারে বসালে,বলে চামচা বা কর্মী।আকাম-কুকাম থেকে সুপথে ডাকলে বলে চরিত্রহীন।চোর কে সাধুতে পরিণত করতে গেলে বলে ডাকাত।চোর হয় সাধু।জীবনের সমস্ত ত্যাগ স্বীকার করে আগলে রাখলে বলে শত্রু এবং শত্রু পড়নের কাপড় ধুয়ে দিলে বলে বন্ধু।এক শ্রেণির ব্যক্তিকে কলিজা বুনে দিলে বলে লবণ কম এবং চরিত্রহীন একটু স্বার্থ দিলেই বলে সবই ঠিক।শরীরের রক্ত দান করলেও বলে ঋণ পরিশোধ এবং কেউ সামনে গিয়ে সেলফি তুলে ফেইসবুকে পোস্ট করলে বলে সেই আমার আসল ও হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা।চরিত্রবান ব্যক্তিকে বলে চরিত্রহীন এবং চরিত্রহীন ব্যক্তি এ দেশে ফুলের মতো পবিত্র।শুয়ার ঘরে আলো দিলে বলে মন্দ,অন্ধকার রাখলে বলে বেশ।মন্দ লোককে সাজিয়ে মঞ্চে উঠালে স্যালুট সৎ লোকের ভালো কাপড় না থাকলে মঞ্চ থেকে অবহেলা ও দূরত্ব।গুণহীন কে বিভিন্ন ভুয়া সংগঠন থেকে গুণীজন সংবর্ধনা দিয়ে গুণীদের অবমাননা হচ্ছে।অবৈধ টাকাওয়ালার সন্তান হেড নরমাল হলেও সামনের সারিতে এবং গরীবের সন্তান মেধাবী হলেও অনেক সময় পিছনের সারিতে বসার সুযোগ জুটেনি।অবৈধ টাকাওয়ালার ছেলেমেয়ে দেশের প্রথম শ্রেণির পতিতায় পরিণত হলেও উইস করার লোকের অভাব নেই।কিন্তু গরীব বা আদর্শবান কোনো পরিবারের সন্তান দেশের প্রথম শ্রেণির চরিত্রবান হলেও তাদেরকে নোংরা মনমানসিকতায় অবহেলা ও এড়িয়ে চলে।জনগণের শক্তি শরীরে পোষণ করে আমিত্ব নিয়ে করে জনগণ নির্যাতন।কোন দাস জনক্ষমতায় চেয়ারে বসলে রাজাকেও দাস বলার চেষ্টা করে।বিবেক শুন্য হয়ে আবেগ চলমান থাকায় অপরাধী বিচার করে সত্যবাদীর।তাই সত্য বিলুপ্ত মিথ্যাচারের প্রবণতা বৃদ্ধি।নকলদের ধাক্কায় ও নষ্টদের নষ্টামী দেখে গুণিজনরা এ দেশ ছেড়ে বাহিরের দেশে অবস্থান করছেন।দেশের এক শ্রেণির লোক পীর কে বলে চোর, আর চোর কে বলে পীর।
তাই এ দেশের মানুষের নিকট মধুর চেয়ে গুড়ের দাম বেশি।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি