ফরজুন আক্তার মনি, (সম্পাদক ও প্রকাশক)।।অনুসন্ধানে এবার লেখকের চোখে ফুটে উঠেছে হিংসা,নিন্দুকের নিন্দা,জাতীয় নেতাদের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা।ছোট বেলায় আধ্যাত্মিক জ্ঞান অর্জনের আশায় একাকী সময় কাটাতাম।বন্ধু বান্ধব বা মানুষের সাথে দরকার ছাড়া মিশতাম না।ছোট বেলার অভ্যাস এখনও রয়ে গিয়েছে।তাই অনেকে হিংসায়,যা মন চায়,তাই বলে।তবে পৃথিবীর কোনো মানুষের প্রতি আমার হিংসা নেই,১৮ হাজার সৃষ্টি কে মনেপ্রাণে ভালোবাসি।নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে এমনকি গুণীদের যথাযথ সম্মান প্রতিষ্ঠিত করতে নিজেও নির্যাতিত,হামলা মামলা ও হয়রানির স্বীকার হয়েছি।এমনকি কারাভোগও করেছি।এমপি মন্ত্রী কিংবা কোন দলের বড় নেতা হওয়ার জন্য নয়।এসব করিয়াছে আমার বিবেক ও ব্যক্তিত্ব।গত ২২ /০৫/২২ তারিখ হবিগঞ্জে একটি কাজে গিয়েছিলাম।হঠাৎ নবীগঞ্জের এক কথিত সাংবাদিকের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে এক বয়স্ক ব্যক্তি ফোনে বলেন মনি আপা আপনি কোথায়?বললাম হবিগঞ্জে,শুনে বললেন আপনি আমার জন্য এক ঘন্টা অপেক্ষা করেন প্লিজ আমি আসতেছি।অপেক্ষা করার নিরাপদ জায়গা মনে করলাম হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ।সেখানে একা বসে আছি।এক পরিচিত ব্যক্তি বলে আপু কিছু লোক স্যারের নিকট আপনার বদনাম করছে।বললাম সমস্যা নেই।চিনে রাখেন আপু,আসেন,দেখেন।আমরা দূর থেকে ফলো করেছি।তাদের কথা শুনে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আঃলীগের সাবেক সভাপতি ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরী বলেছেন,সে অনেক বড় সাংবাদিক সোনা চিনতে বাঙালি ভুল করে।সোনা সবসময় মাটির নিচে থাকে,তাই সোনা চিনতে গভীর জ্ঞানের প্রয়োজন।তাকে চিনে রাখো ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।আমি অবাক ! ডাঃ সাহেবের পাশে বসে কখনও এক মিনিট কথা বলিনি অথবা তিঁনি আমাকে সরাসরি দেখেননি।এত বড় অন্যায় প্রতিরোধ করেছেন।এটাই জাতীয় নেতাদের গুণ,তাই আবেগে সালাম দিতে কাছে গেলাম।সালাম দিতেই তিঁনি বলেন,কে তুমি?অফিস থেকে কী সেবা দিতে পারি?বললাম নবীগঞ্জের সাংবাদিক মনি,আপনাকে সালাম জানাতে এসেছি।তিঁনি অনেক খুশি হয়ে বললেন,আমার জন্য দোয়া করিও কেমন?বলেছি দোয়া আজীবন থাকবে।এতে অনুমান হচ্ছে তিঁনি মাটি ও মানুষের নেতা।তিঁনি একজন জাতীয় নেতা।রমজানে কুর্শি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে হতদরিদ্রদের মধ্যে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে হবিগঞ্জ -১ আসনের সাবেক এমপি মুনিম চৌধুরী বাবু প্রধান অতিথি ছিলেন।এই অনুষ্ঠানে আমাকেও দাওয়াত করা হয়েছিল।সাবেক এমপি মুনিম চৌধুরী কোন বিব্রতবোধ করেননি।তিঁনি সানন্দে আমাকে বিশেষ অতিথি হিসেবে গ্রহণ করে পাশে বসিয়ে শত শত মানুষ কে জানিয়ে দিয়েছিলেন,বিশিষ্ট সাংবাদিক,কলামিস্ট ও লেখক হলেন মনি।তিঁনিকে ভাবতে দেখিনি,তিঁনি শুধু জাতীয় পার্টির নেতা।তখন বুঝা যাচ্ছে তিঁনি মাটি ও মানুষের নেতা।জাতীয় নেতাগণ এমন গুণেই ভরপুর। দৈনিক আমার হবিগঞ্জ পত্রিকার জনপ্রিয় সম্পাদক ও হবিগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সুশান্ত দাস গুপ্তের নিকট নবীগঞ্জের শতাধিক সাংবাদিক গিয়ে আমার বদনাম করেছে আমাকে যেনো হবিগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবে যুক্ত না করেন।তিঁনি বলেছেন,নির্যাতিত নিপীড়িত অসহায় নিরীহ মানুষ যাকে বলে খারাপ,সে নিশ্চয় খারাপ।তোমাদের অভিযোগে বুঝ যাচ্ছে,সে অনেক ভালো।হঠাৎ কমিটি অনুমোদন হলে,আমার নামও দেখতে পাই এবং হবিগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবের ১ম সভায় নিজ অফিসে ১ম সারিতে আমাকে পাশে বসান।জাতীয় নেতাদের চৌকস জ্ঞান আছে বলেই,মাটি ও মানুষের অনুতাপ বুঝেন।এতে প্রমাণিত জনপ্রিয় সম্পাদক সুশান্ত দাসের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শতা অবশ্যই আছে।এমন গুণ আর কয়েকজন নেতার মধ্যে আছে।বাকীটা অনুসন্ধান করলে ব্যক্তিত্ব পাওয়া যাবে কি না,আমি সন্দিহান।কিছু দিন আগে হবিগঞ্জ জেলা আঃলীগের এক নেতা নবীগঞ্জের ১ম শ্রেণির অপরাধীদের পক্ষে আমাকে হুমকি দিয়েছেন।একজন সাংবাদিক কে থ্রেড দিতে দ্বিধাবোধ করেননি,তাহলে সাধারণ জনগণ তিনির নিকট ধুলাবালু।এমন নেতাদের নির্বাচিত করলে কখনও এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা হবে না। আমি এমন নেতাদের কখনও ভোট দেবো না। জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাষণে শুনেছি,তিঁনি বলেছেন দেশের ৭ লক্ষ মানুষ আমাকে ভালোবাসে,তাদেরকে কখনও শোষণ ও বঞ্চিত করা যাবে না।এখন দেখা যায় এমনও মানুষ আছে ভোটের সময় অভিনেতা সেজে অবৈধ টাকার বিনিময়ে জনপ্রতিনিধি হয়ে ভাবভঙ্গিতে প্রকাশ করে এ দেশ তার বাবার একাই।তাদের লালিত সন্ত্রাসী কুকুর কে দুধ কলা দিয়ে ভাত খাওয়াতে।তা না হলে হামলা মামলা দিয়ে এ দেশ থেকে বিতাড়িত করিবে।জনগণ জানে না যারা জনগণের ক্ষমতায় চেয়ারে বসে,জনগণ ইচ্ছে করলে বিতাড়িত করিতে পারিবে।নকলের দাপটে গুণীদের গুণ ঢেকে রাখলেও তা কোন একদিন প্রকাশ হয়।গুণীদের গুণ বাজে মন্তব্য করে কখনও নষ্ট করা যায় না।কারণ তা স্বয়ং আল্লাহ দান করেছেন।জাতীয় নেতারা হিংসুটে নন,আছে শুধু স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি