নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ- হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলাধীন মাসুক গণের বিরুদ্ধে ভিসা জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ এর মামলা দায়ের করেন মৌলভীবাজার সদর থানার এক নারী।আসামি কতৃক বশিভূত হয়ে স্বাক্ষী মিন্নত আলী আদালতে অচেনা রুপ ধারণ করেন।
জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ১১ নং গজনাইপুর ইউপির কায়স্থ গ্রামের মেয়ে আমিরুন বেগমের বিয়ে হয় মৌলভীবাজার সদর থানার ৪ নং আপার কাগাবলা।স্বামী দিনমজুর থাকায় অসহায়ত্ব জীবনযাপন দেখে ছোট বোনের সহযোগিতায় একই গ্রামের মৃত সৈদুল্লার ছেলে মাসুক মিয়া ও তার স্ত্রী শেফু বেগম তার মামা সিদ্দিক মিয়া, মামাতো বোন লালবানুর সহযোগিতায় সৌদিআরবের ভিসার জন্য ৫ লক্ষ টাকা নেয়। শেষ পর্যন্ত জাল ভিসা সৌদি থেকে প্রেরণ নিয়ে ঝগড়া হয়।পাঁচ মৌজার সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস, মোঃ আবু মিয়া,মিন্নত মিয়া সহ অনেক মুরব্বি সালিশি করার পরও টাকা উদ্ধার হয়নি।আমিরুন বেগম নিরুপায় হয়ে মৌলভীবাজার আদালতে গত ২৬/০৬/১৮ খ্রিস্টাব্দ মামলা দায়ের করেন,যাহার সি আর মামলা নং ৫৭৯।মামলা তদন্ত কালে একই গ্রামের মৃত বিলাল মিয়ার পুত্র মিন্নত মিয়া স্বাক্ষী দিয়েছেন।গত ২৭/০৭ ২৩ খ্রিস্টাব্দ মৌলভীবাজার বিচারিক আদালতে স্বাক্ষীতে মিন্নত মিয়া প্রকাশ করেন বাদী বিবাদী কাউকে চিনেন না।আদালত থেকে বের হলে বাদী জানান, চাচা একই গ্রামে আমার জন্ম এবং বারবার সালিশে আপনাকে নেওয়া হয়েছে, অতঃপর আপনি আদালতে জানালেন বাদী বিবাদী কাউকে চিনেন না,এটা কী আপনার ধর্ম? এ সময় মাসুক মিয়া বাদী আমিরুন বেগম কে আদালতের সম্মুখে ধাওয়া দিয়ে জানায়, আমার স্বাক্ষীর সাথে কথা বলতে পারবে না,বললে সমস্যা হবে। আশপাশের লোকজন আমিরুন বেগম কে মাসুকের কবল থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানান সমাজের মানুষ এমন হলে গরীব অসহায় মানুষ বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে।স্বাক্ষী মিন্নত মিয়ার বাড়ি আসামি মাসুকের বাড়ির এক মালিকের পরেই তার বাড়ি এবং বাদী আমিরুন বেগমের বাবার বাড়ি থেকে ৬ মালিকের বাড়ির পরের বাড়িটি স্বাক্ষী মিন্নত মিয়ার।অতঃপর আদালতে মিন্নত মিয়া অচেনা রুপ ধারণ করেছেন।এ বিষয়ে মিন্নত মিয়া সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কে জানান, আমি সঠিক কথা বলতে চেয়েছি,কিন্তু আইনজীবী গণ আমার কথা না শুনে বিতর্ক শুরু করেন।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি