বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে হবিগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলা সহ নবীগঞ্জ এলাকায় এমন চিত্রই চোখে পড়ে। সরেজমিনে দেখা যায়, ভোরের পর থেকে কুয়াশার চাদরে আড়াল হতে থাকে প্রকৃতি।বাংলা পৌষ মাসের তৃতীয় দিনেই ঠান্ডা প্রকৃতি আর এমন কুয়াশা এসব এলাকার শহরে জীবনে তৈরি করেছে অন্যরকম আমেজ।তবে থেমে নেই কর্মজীবী মানুষের চলাচল।বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে অফিসগামী মানুষের ভিড় দেখা গেছে সড়কগুলোতে।সড়কে গাড়ির চাপও ছিল স্বাভাবিক।বেলা বাড়লেও কুয়াশার আধিক্য থাকায় নবীগঞ্জের মানুষের সূর্যের দেখা মেলেনি।
এ অবস্থায় শীতে ও কুয়াশায় অসুবিধায় পড়ার কথা জানালেন স্বল্পআয়ের মানুষেরা।বিভিন্ন এলাকায় কথা হয় রিকশাচালকদের সঙ্গে।তারা বলেন,শীতের দিন রিকশা চালানো খুব কষ্ট হয়ে যায়। নাক মুখ দিয়ে ঠান্ডা কুয়াশা ঢুকে পড়ে।পরে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।রাতে ফুটপাতে থাকতেও সমস্যা হয়।ঠান্ডার কারণে আমাদের মতো গরীব মানুষকে অনেক কষ্টের মধ্যে পড়তে হয়।কুয়াশার কারণে শীতের দিনে গাড়ি চলাচল ব্যাহত হয় বলে সকালে গন্তব্যে পৌঁছাতেও অনেক দেরি হয়ে যায় বলে জানান ভিআইপি ২৭ পরিবহনের বাসচালক।বলেন, আগে যে সময়ের মধ্যে নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছানো যেত এখন সেটি সম্ভব হয় না। শীতের দিনে সকালে ও রাতে অনেক সতর্কতার সঙ্গে গাড়ি চালাতে হয়।বেশি জোরে গাড়ি চালানো যায় না।আবার ঢাকার বাইরে থেকে দূরপাল্লার যে গাড়িগুলো ভোরে ঢাকায় প্রবেশ করত কুয়াশার কারণে এখন সকালে আসছে।এর ফলে ঢাকার রাস্তায় ভিড় বাড়ছে। তাছাড়া এবার অন্য বছরের তুলনায় শীতের প্রভাব বেশি।আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, সারা দেশে শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা ও মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। একইসঙ্গে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি একই এলাকায় বিরাজমান রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
এছাড়াও অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে এবং সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও এতে জানানো হয়েছে।