ফরজুন আক্তার মনি,সম্পাদক ও প্রকাশক: হবিগঞ্জে নবাগত পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেছেন এসএম মুরাদ আলী।
এর আগে তিনি মেহেরপুর জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। আর হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা
(বিপিএম-পিপিএম)কে সহকারি পুলিশ মহাপরিদর্শক হিসেবে পুলিশ অধিদপ্তরে বদলী করা হয়েছে। আজ রাষ্টপ্রতি আর্দেশক্রমে
স্বরাষ্ট মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। ২০১৮ সালের
৯ সেপ্টেম্বর বর্তমান পুলিশ মোহাম্মদ উল্ল্যাকে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। তিনি দায়িত্ব গ্রহন করার পর
হবিগঞ্জকে দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণ করতে গনসচেতনামূলক কর্মকান্ড শুরু করেন। এর অংশ হিসেবে তিনি গ্রামে গঞ্জে স্কুল,
কলেজ, মাদ্রাসা সমাবেশ করেন। সমাবেশগুলোতে অংশ গ্রহনকারী জনসাধারণ, শিক্ষার্থীদের মধ্যে দাঙ্গা, ইভটিজিং,
বাল্য বিবাহের কুফল তুলে ধরেন। শুধু তাই নয়, দাঙ্গা মুক্ত করার জন্য পরিবহনগুলো বিভিন্ন সচেতনতামূলক স্লোগান সম্বলিত পোস্টার,
টিকার ও লিফলেট বিতরণ করেন এবং পরিবহনে দাঙ্গা মুক্ত করনের সচেতনতামূলক টিকার লাগান তিনি।
এছাড়াও জেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তিনি শিক্ষার্থীদের মাঝে খাতা বিতরণ করেছেন।
খাতাগুলোতে বিভিন্ন সচেতনামূলক স্লোগান লেখা ছিল। এছাড়া তিনি গণসচেতনামূলক নাটিকা তৈরী করেছেন।
ডাকাতি রোধে তিনি হবিগঞ্জের চিহ্নিত ডাকাতদের গ্রেফতারের পাশাপাশি মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কগুলোতে
পুলিশের টেহল জোরদার করেছেন। হবিগঞ্জকে মাদক মুক্ত করার জন্য তিনি চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারের মাধ্যমে
অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছেন। শীত মৌসুমে তিনি তার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে জেলা বিভিন্ন স্থানের দরিদ্রদের
মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছেন। করোনার শুরু থেকেই দরিদ্রদের মাঝে খাদ্র সামগ্রী বিতরণ যেমন অব্যাহত রেখেছেন।
তেমনি করোনায় আক্রান্ত রোগীদের নিয়মিত খোঁজ খবর রাখার পাশাপাশি তাদের পাড়িতে ফল পলাদি পাঠিয়েছেন।
তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর হবিগঞ্জ জেলাকে অনেকটা দাঙ্গা মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। পুলিশ সুপার ব্যতিক্রমী
ও মানবিক কর্মকান্ডে হবিগঞ্জবাসী তাকে মানবিক পুলিশ সুপার হিসেবেই স্বীকৃতি দিয়েছেন।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি