নিজস্ব প্রতিবেদক :-নবীগঞ্জ শহরে চোরাই মোবাইল উদ্ধারে অভিযান চালাতে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।এতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত একজনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে নবীগঞ্জ পৌরসভার শিবপাশা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নবীগঞ্জ পৌর এলাকার নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল হেকিমের ছেলে রুমন মিয়া একটি চোরাই মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন বলে পুলিশের কাছে তথ্য আসে।
ওই সূত্র ধরে নবীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে ৬-৭ জন পুলিশ সদস্য মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রুমনের বাড়িতে অভিযান চালান।
অভিযানের সময় রুমন মোবাইল ফোনটি নিজের দাবি করে পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে রুমনের ভাই মামুনসহ কয়েকজন নারী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালান।
এতে উপপরিদর্শক মেহেদী হাসান (৩০), মাইনুল ইসলাম (৩২), এএসআই মোশারফ হোসেন (২৯), কনস্টেবল শাহ ইমরান (২৭) ও পল্টন চন্দ্র দাশ (২৫) আহত হন।
আহতদের উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর আহত কনস্টেবল শাহ ইমরানকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
এ ঘটনার পর নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রুমনের ভাই মামুনসহ তিন জনকে আটক করেন।
পুলিশের ওপর হামলার খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানায় ছুটে যান নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ মো. কামরুজ্জামান বলেন, চোরাই মোবাইল উদ্ধারে গেলে চোরচক্র পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
তাৎক্ষণিকভাবে তিন জনকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি