নাজনীন নাবিলা, ঢাকা থেকে।
ভাবা যায়, ভারতের প্রযুক্তি-রাজধানী ব্যাঙ্গালোরে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি হয়েছে কিনা এক অভিনেতার মৃত্যুতে!
দক্ষিণী ছবির জনপ্রিয় তারকারা এমনিতেই যেন তাদের ভক্তদের গুণে পরিণত হয়েছেন একেকটি ‘কাল্ট’-এ। তামিল, তেলেগু, মালয়ালামের ভীড়ে কিছুটা পাদপ্রদীপের নিচে থাকা কন্নড় ইন্ডাস্ট্রির সেরকমই একজন ‘কাল্ট’ ছিলেন পুণীত রাজকুমার।
হার্ট-অ্যাটাকে গতকালই প্রয়াত হয়েছেন পুণীত। ৪৬ বছর বয়সেই প্রিয় তারকার এমন বিদায় মানতে পারেননি ব্যাঙ্গালোর তথা পুরো কর্নাটক। তাই রাজপথে নামা ঢল ঠেকাতেই পুলিশ জারি করেছিল ‘রেড অ্যালার্ট’।
পুণীতের প্রয়াণের খবরে এভাবেই উপচে পড়ে ভক্তদের ঢল
হয়তো ভক্তদের এমন আবেগের প্রকাশ অন্য সিনে-তারকাও পেতে পারতেন। কিন্তু পুণীত শুধু রূপালী পর্দাতেই নন, বরং জীবন নামের আরও বড় এক পর্দায় দৃষ্টান্ত রেখে যাওয়া এক নায়ক ছিলেন।
পুণীতের বাবাও কাজ করেছেন সমাজের জন্য। নিজেও ধরে রেখেছিলেন সেই ধারা। সেইসঙ্গে নিজে প্রতিষ্ঠা করেন ৪৫টি দাতব্য স্কুল, ২৬টি অনাথ আশ্রম, ১৬টি বৃদ্ধাশ্রম এবং ১৯টি গরুর খামার! কেবল নিজের অর্থায়নেই তিনি বহন করে চলছিলেন ১৮০০ শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার দায়িত্ব।
ভক্তদের ভালোবাসায় সিক্ত পুণীতের শেষবিদায়
সিনেমাতে গানও গাইতেন পুণীত। সেই গানের জন্য পাওয়া পারিশ্রমিকের বড় একটা অংশ তিনি দান করেছেন দাতব্য কাজে। এমনকি নিজের চোখজোড়াও তিনি মৃত্যুর পর দান করে গেলেন!
তারকা আসে, তারকা যায়। কিন্তু জীবনপথের এই সত্যিকারের নায়কেরা হয়তো এভাবেই দৃষ্টান্ত রেখে ইতিহাসের পাতায় অক্ষয় হয়ে থাকেন।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি