ফরজুন আক্তার মনি, (সম্পাদক ও প্রকাশক)।।
জমে উটেছে নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। আর মাত্র ৮দিন বাকী। তৃতীয় ধাপে অনুষ্টিতব্য ২৮ নভেম্বর নির্বাচনে ১৩টি চেয়ারম্যান পদের বিপরীতে ৬১ জন, সংরক্ষিত আসনের ৩৯টি পদের বিপরীতে ১৭৭ জন এবং ১১৭টি সাধারন সদস্য পদের বিপরীতে ৪৮২ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন।
স্ব স্ব ইউনিয়নে প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনায় ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন। উঠান বৈঠকসহ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের মন জয় করার জন্য বিভিন্ন কলা কৌশল অবলম্বন করছেন। এরমধ্যে কোন কোন প্রার্থী ভোটারদের পা ধরে ভোট ভিক্ষা প্রার্থনার ঘটনাটি খুব জোরে শুরে আলোচনায় ঝড় তোলেছে। সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার ২ লাখ ৩৭ হাজার ২ শত ৭৭ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১৮ হাজার ৫ শত ৫০ জন। নারী ভোটার ১ লাখ ১৮ হাজার ৬ শত ৭৭ জন। নির্বাচনে মোট ভোট কেন্দ্র ১৩৩টি। ভোট কক্ষ মোট ৬২৯টি। এর মধ্যে স্থায়ী ভোট কেন্দ্র ৫৭৫টি, অস্থায়ী কক্ষ ৫৪টি। গত ২রা নভেম্বর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য পদে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। যাচাই বাচাই শেষে ১২ নভেম্বর প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্ধ দেয়া হয়। নির্বাচনে বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে অংশ গ্রহন না করলেও দলীয় লোকজন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। উপজেলার সর্বত্র নির্বাচনী হাওয়া বিরাজ করছে। প্রার্থীদের নির্ঘুম প্রচারনায় মুখরিত হয়ে উটেছে হাট, বাজার, দোকানপাট, হোটেল রেস্তুরাসহ উপজেলার জনপদ। এবারের নির্বাচনে বেশীর ভাগই ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের প্রতিদ্ব›িদ্ব আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী প্রার্থীরা। ফলে সুবিধা নিচ্ছে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা। নির্বাচনকে সামনে বিভিন্ন ইউনিয়নে ভোটের মাঠে নেমে পড়েছে উপজেলা ও পৌর বিএনপি। ইতিপুর্বে তারা দলীয় সভা সমাবেশ করে তাদের দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফলে নির্বাচনী মাঠ সরব হয়ে উঠেছে। এদিকে জনমত ও বিভিন্ন সুত্রে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, উপজেলার ১৩টি ইউনয়নের মধ্যে বেশীর ভাগ ইউনিয়নে নৌকার ভরাডুবির আশংখ্যা রয়েছে। ওই ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী ও বিএনপির প্রার্থীর জয়লাভের সম্ভাবনা রয়েছে। এ উপজেলায় জাতীয় পার্টির ২ জন প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করলেও তাদের দলীয় দায়িত্বশীল কোন নেতাকর্মীদের মাঠে দেখা যাচ্ছে না। উক্ত উপজেলায় ১৩৩টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে সরকারীভাবে ৫০টি কেন্দ্রটি ঝুকিপুর্ণ হিসেবে সনাক্ত করা হলেও তার সংখ্যা হবে কমপক্ষে ৮০ টি।
এছাড়া অনেক এলাকায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের মেম্বার প্রার্থীরা দলীয় প্রভাব কাটিয়ে জয়ী হওয়ার হুংকার দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে অন্যান্য মেম্বার প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকদের মাঝে অজানা আতংক বিরাজ করছে। নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ট ভাবে সম্পন্ন করার বদ্ধপরিকর বলে জানান উপজেলা নির্বাচন অফিসার দেবশ্রী দাশ পার্লি। তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্টভাবে সম্পন্ন করতে ইতিমধ্যে পর্যান্ত পরিমানের আইনশৃংখলা বাহিনী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি