ফরজুন আক্তার মনি, (সম্পাদক ও প্রকাশক)।।
নবীগঞ্জ উপজেলার তৃতীয় ধাপের ২৮ নভেম্ভর অনুষ্টিতব্য নির্বাচনে ২ নং বড়ভাকৈর পূর্ব ইউপির ৩টি কেন্দ্রে কারচুপির অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী খালেদ মোশারফ। তিনি ওই ইউনিয়নে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। এ ব্যাপারে তিনি উপজেলা রির্টানিং অফিসার এবং বুধবার(১ লা ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, ওই ইউনিয়নের ৩টি কেন্দ্রে ভোট গণনা ক্ষণিক বিলম্বে প্রকাশিত হইয়াছে। এর প্রতিবাদ করায় ঘোড়া প্রতীকের এজেন্টদের সাথে ওই কেন্দ্রের দায়িত্বরত অফিসারগণ খারাপ আচরন করেছেন। ফলে চেয়ারম্যান প্রার্থী খালেদ মোশারফের যথেষ্ট সন্দেহের সৃষ্টি হয়। ৮নং ওয়ার্ডের ছোট ভাকৈর কেন্দ্রে মোট ভোটার ১৩৪১। উপস্থিত ভোটার সংখ্যা ছিল ১০৮৩। বৈধ ভোট ১০৭৬ ও অবৈধ ভোট দেখানো হয়েছে ৭টি। ওই কেন্দ্রে তার এজেন্ট ও উপস্থিত লোকজন কর্তৃক দেয়া তথ্য অনুযায়ী ঘোড়া প্রতীকের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৭৫০ ভোট। প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী মোঃ আক্তার মিয়ার প্রাপ্ত ভোট ২৩১ ভোট। এ সময় অজ্ঞাত স্থান থেকে প্রিজাইডিং অফিসারের নিকট বিরতীহীন ভাবে ফোন আসতে থাকে। এর কিছুক্ষন পরই বাতিলকৃত ভোট এবং ঘোড়া প্রতীকের প্রাপ্ত ভোট ৭৫০ থেকে ২১৬টি ব্যালট পেপার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীর ব্যালেট পেপারের বান্ডিলে ঢুকিয়ে গণনায় গড়মিল করে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীর ভোট বেশী দেখিয়ে তড়িগড়ি করে ফলাফল ঘোষনা করে প্রিজাইডিং অফিসার কেন্দ্র ত্যাগ করেন। এ সময় তার এজেন্ট মোঃ শাহীদ আলী প্রতিবাদ করিলে তাকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন। ৪ নং ওয়ার্ডের হরিনগর কেন্দ্রে মোট ভোট ১৪৪০। উপস্থিত ভোটের সংখ্যা ১০৬১। বাতিল ভোটের সংখ্যা ১১টি। একই ভাবে ওই কেন্দ্রে কারচুপির মাধ্যমে সর্বোচ্চ ভোট পাইলেও সামান্য ভোটের ব্যবধান দেখিয়ে অবৈধ ভোট ও তার প্রাপ্ত ভোট থেকে ব্যালেট পেপার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীর ব্যালেট পেপার বান্ডিলে ঢুকিয়ে অনুরুপ ভাবে ফলাফল ঘোষনা করেন। ৩ নং ওয়ার্ড কামড়াখাইর প্রাইমারী স্কুল কেন্দ্রেও ভোট কারচুপি করে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের দায়িত্বরত অফিসার ও পোলিং অফিসারগণ ঘোড়া প্রতীকের প্রাপ্ত ভোট এর ব্যালেট পেপার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীর বান্ডিলে ঢুকিয়ে ফরম-ঞ ( বিধি ৩৯ দ্রষ্টব্য) ফরমে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীকে বিজয়ী দেখানো হইয়াছে। ওই কেন্দ্রে তার তথ্য ও হিসাব অনুযায়ী প্রাপ্ত ভোট হবে ৩৮১টি ভোট। উক্ত ৩টি কেন্দ্রের অবৈধ ভোট এবং তার প্রাপ্ত ভোট থেকে ব্যালেট পেপার সরিয়ে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীর বান্ডিলে ঢুকিয়ে কারচুপির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসার ও দায়িত্বরত তার সহযোগিরাগণ প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীর কাছ থেকে অবৈধ ভাবে লাভবান হয়ে প্রাপ্ত ভোট থেকে কম দেখানোর কারনে ইউনিয়ন নির্বাচনে ফলাফলে খালেদ মোশারফকে ১৭৭ ভোট ব্যবধান দেখিয়ে পরাজিত দেখানো হয়েছে। তার বিশ^াস উক্ত ৩টি কেন্দ্রের ব্যালট পেপার পুণঃরায় গণনা করিলে বিশাল ভোটের ব্যবধানে সে জয়ী হবে। খালেদ মোশারফ জেলা প্রশাসক বরাবরে দেয়া আবেদনে অভিযুক্ত ৩টি কেন্দ্রের প্রাপ্ত ভোটের ব্যালট পেপার পুণঃরায় গণনা করতঃ গেজেট বন্ধ রাখার জন্য দাবী জানান। এ ব্যাপারে তিনি আইনী প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি