ষ্টাফ রির্পোটার। মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতে বছর জুড়ে পর্যটকদের ভীড় লেগেই থাকে। তবে বিভিন্ন উৎসবে পর্যটকদের সমাগম একটু বৃদ্ধি পায়। এতে মুখরিত হয় পর্যটন এলাকা। হাসি ফুঠে ওঠে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মুখে। এবার মহান বিজয় দিবসের ছুটিতে প্রকৃতির পরশ পেতে মাধবকুণ্ডে ভীড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা।
বনবিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিজয় উৎসবের দিন বৃহ¯পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেল চারটা পর্যন্ত মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতে প্রায় ৪ হাজার পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। প্রতিদিন আশপাশের উপজেলার মানুষ ছাড়াও দেশের নানা প্রান্ত থেকে নানা বয়সী মানুষ ভীড় করছেন মাধবকুণ্ডে। এতে বেচাকেনা ভালো হওয়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটে ওঠেছে।
শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে দেখা গেছে, দূর-দূরান্ত থেকে পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধবসহ নানা বয়সী মানুষ বাস, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড় যানবাহনে করে মাধবকুণ্ডে বেড়াতে আসছেন। স্থানীয় দোকানগুলোতে জমজমাট বিকিকিনি হচ্ছে।
যশোর থেকে মাধবকুণ্ডে ঘুরতে আসা আকলিমা বেগম বলেন, দীর্ঘদিন কোথাও ঘোরা হয়নি। করোনার কারণে ঘরবন্ধি ছিলাম। আমার স্বামী সরকারি চাকরিজীবী। বিজয় দিবসের কারণে তার (স্বামীর) ছুটি মিলেছে। তাই তাকে সঙ্গে নিয়ে মাধবকুণ্ডে ঘুরতে এসেছি। এখনকার প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখে মুগ্ধ হয়েছি।
ফটিকছড়ি থেকে আসা ব্যবসায়ী নির্মল চক্রবর্তী বলেন, আমার দীর্ঘদিনের ইচ্ছা মাধবকুণ্ড দেখার। কিন্তু সময় পাচ্ছিলাম না। বিজয় দিবসে মাধবকুন্ডে আসব বলে পরিকল্পনা করে রেখেছিলাম। তাই পরিবার নিয়ে এসেছি। এখানে এসে বেশ ভালো লাগছে। রাস্তা-ঘাটও ভালো। আসতে কোনো সমস্যা হয়নি।
পর্যটন পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) প্রণীত চাকমা বলেন, পর্যটকের নিরাপত্তায় পুলিশ সবসময় কাজ করছে। আগত পর্যটকরা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে যাতে পাহাড় চ‚ড়ায় না উঠতে পারে, সেজন্য পুলিশ সর্তক আছে।
বনবিভাগের বড়লেখা রেঞ্জের সহযোগী রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস বলেন, মাধবকুণ্ডে বছরজুড়ে কমবেশি পর্যটকের আনাগোনা থাকে। তবে বিভিন্ন উৎসবে এখানে পর্যটক সমাগম বৃদ্ধি পায়। দেশের বিভিন্ন স্থানের পর্যটকের পাশাপাশি বিদেশী পর্যটকরাও মাধবকুণ্ডে বেড়াতে আসেন। বিজয় দিবসের ছুটি পেয়ে এখানে অসংখ্য পর্যটক এসেছেন। পর্যটকের নিরাপত্তায় পুলিশ সবসময় কাজ করছে। পাশাপাশি আমরা সবসময় খেয়াল রাখছি।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি