স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের নির্বাচন নিয়ে ক্লাব সদস্যসহ সাংবাদিকদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রজালের। গত ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্টিত এ নির্বাচন নিয়ে নবীগঞ্জ উপজেলাসহ সর্বত্র চলছে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা। সভাপতি পদে দুই প্রার্থীর সমান সংখ্যক ভোট পাওয়ায় নির্বাচন কমিশন ৩১ ডিসেম্বর পুনঃনির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করলেও নির্বাচন না করেই একজনকে সভাপতি ঘোষণা করায় প্রেস ক্লাবের সদস্যদের মাঝে দেখা দিয়েছে বিভক্তি। এছাড়া সভাপতি পদের অপর প্রার্থী মুরাদ আহমদ পুনঃ নির্বাচন দাবি করে নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত দাবি জানালে নির্বাচন কমিশন ১৫ জানুয়ারী এ বিষয়ে শুনানীর দিন ধার্য্য করার সিদ্ধান্ত নিলেও ওই দিনই রাকিল হোসেনকে সভাপতি ঘোষণা দেয়ায় নির্বাচন কমিশনের উপর পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। সুত্রে জানা যায়, গত ৩১ ডিসেম্বর পুনঃনির্বাচনের দাবীতে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী মুরাদ আহমদ প্রেস ক্লাবের গঠনতন্ত্র মোতাবেক নির্বাচন কমিশন বরাবরে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকল প্রার্থীদের অংশগ্রহণে পুনঃনির্বাচনের আবেদন করলে নির্বাচন কমিশনার ওই আবেদনের বিষয়ে শুনানীর জন্য ১৫ জানুয়ারি দিন ধার্য্য করেন। সমান সংখ্যক ভোট পাওয়া সভাপতি পদ প্রার্থী এম এ আহমদ আজাদ এ প্রতিনিধিকে জানান, তিনি নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়াননি। শারিরীক অসুস্থতার জন্য নির্বাচন কমিশনকে লিখিত আবেদন করে গঠনতন্ত্র মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানান। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তার আবেদনের বিষয়ে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে অজ্ঞাত কারণে সমান ভোট পাওয়া অপর প্রার্থী রাকিল হোসেনকে সভাপতি মনোনীত করেন। যা প্রেস ক্লাবের গঠনতন্ত্র বর্হিভূত। এ ব্যাপারে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী মুরাদ আহমদ জানান, তিনি প্রেস ক্লাব নির্বাচন কমিশনার বরাবরে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী সকলের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আবেদন করেন। সেই আবেদনে নির্বাচন কমিশনার আগামী ১৫ জানুয়ারী শুনানীর দিন ধার্য্য করেন কিন্তু ওই দিনই অজানা কারণে সভাপতি পদে রাকিল হোসেনকে সভাপতি হিসেবে মনোনীত করে সিন্ধান্ত গ্রহণ করায় বেআইনি কার্যক্রম করেছেন বলে মুরাদ আহমদ মনে করেন। এ ব্যাপারে তিনি আদালতের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি