ষ্টাফ রিপোর্টার।হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্হানে ফসলি জমির উপরি ভাগের উর্বর মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ইট ভাটার ইট,রাস্তা ঘাট সংস্কার, বসত ভিটা ভরাটের কাজে এ মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে একদিকে কৃষি জমিগুলোর উর্বরতা শক্তি দিন দিন কমে যাচ্ছে অপর দিকে ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে কৃষি পরিবেশের। ফলে জেলার কৃষি উৎপাদন মারাত্মক ভাবে কমে যাওয়ার আশংকা তৈরী হয়েছে। স্হানীয়রা জানান,প্রতিবছর শীতের শুরুতে আমন ধান কাটার পর থেকে বর্ষাকাল শুরু হওয়া পযর্ন্ত এক শ্রেণীর অসাধু মাটি ব্যবসায়ী গরীব কৃষক ও জমির মালিকদের টাকার লোভ দেখিয়ে আবাদি জমির মাটি কিনে নেয়।জমির মালিকরা টপসয়েল বিক্রির কুফল সম্পর্কে না জানার কারনে চিন্তা না করে নাম মাএ মূল্যে মাটি বিক্রি করে দেয়।প্রতিবছর ইট ভাটার মৌসুম শুরু, রাস্তা ঘাট সংস্কার ও বসত ভিটা ভরাট কাজ শুরু হওয়ার পূর্বে স্হায়ীয় প্রভাবশালী চক্র মাটি ব্যবসায়ীদের সাথে দালাল ঠিক করে জমির মালিকদের বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করে মাটি বিক্রি করতে বাধ্য করে বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিজ্ঞদের মতে,জমির ফসল উৎপাদনের উপযোগী মাটি হলো জমির উপরিই ভাগের অংশ আর টপসয়েল কেটে নিলে তার উর্বরাশক্তি ফিরে পেতে সময় লাগে ১৫-২০ বছর।সরেজমিনে দেখা গেছে নবীগঞ্জ উপজেলার আবাদ যোগ্য জমিগুলো থেকে অ্যাক্সকাভেটর দিয়ে মাটি কেটে প্রতিদিন প্রায় শত শত ট্রাক,ট্রাক্টর ভর্তি করে উপজেলার বিভিন্ন স্হানে নেয়া হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন স্হানে শতাধিক ইটভাটা থাকায় ও বসত বাড়ী ভরাটেও এখানে মাটির চাহিদা বেশি। অনেক দালান ইটভাটার মালিকদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকায় মাটির ব্যবসা করে।স্হানের দূরত্ব অনুযায়ী পরিবহন খরচের উপর মাটির দরদাম হয়ে থাকে।কয়েকজন জমির মালিক জানান,তাদের জমির পাশের অনেকে জমির মাটি বিক্রি করে দিয়েছে। এতে মাটি ব্যবসায়ীরা জমিগুলো থেকে ১০-১৫ ফুট এবং ২০-২৫ ফুট পযর্ন্ত গভীর করে মাটি কাটার ফলে তাদের জমিগুলোতে কোন রকমের চাষাবাদ করা যাচ্ছে না।ফলে বাধ্য হয়ে জমির মাটি বিক্রি করে দিতে হয়।অভিজ্ঞদের মতে,এভাবে প্রতিবছর ফসলি জমির মাটি কেটে নেওয়ার ফলে এ অঞ্চলে এক সময় খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা হারাতে পারে ও মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে এখানকার গ্রামীন অর্থনীতি ও অসহায় খেটে খাওয়া মানুষগুলোর উপর।এ ব্যাপারে কৃষি কর্মকর্তা বলেন,ফসলি জমি থেকে উপরের মাটি কেটে নেওয়ার ফলে আবাদি জমিগুলোর উর্বরতা দিন দিন কমে যাচ্ছে। ফসল উৎপাদনের জন্য মাটির যে গুণ থাকা দরকার তার সবটুকুই থাকে জমির উপরি ভাগের অংশে।একবার ওই মাটি কেটে নিলে তা পূরণ হতে সময় লাগে অনেক বছর।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি