নাজনীন নাবিলা,ঢাকা থেকে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সম্পর্ক এযাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে দৃঢ় অবস্থায় আছে। সোমবার বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে লেখা একটি চিঠিতে তিনি এ কথা বলেছেন।
চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনে এবং বর্তমানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে বাংলাদেশিদের কর্মশক্তি অবশিষ্ট বিশ্বের কাছে একটি মডেল হিসেবে কাজ করে। উন্নয়ন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সন্ত্রাসবাদ দমন বিষয়ে ওয়াশিংটন-ঢাকার অংশীদারিত্ব নিয়ে আমরা গর্ব করি। এ দুই দেশ জলবায়ু সংকট মোকাবিলায়, গণহত্যার হাত থেকে রোহিঙ্গাদের প্রাণ বাঁচাতে সহায়তায় এবং বিশ্বব্যাপী শান্তি রক্ষার সমর্থনে একসঙ্গে কাজ করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা গণতন্ত্রের আদর্শ, সমতা এবং মানবাধিকারের প্রতি সম্মান জানানোর বিষয় একইভাবে অনুধাবন করেন। এই অনুধাবন একটি ভালো, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ সমাজের ভিত্তি। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ কভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করে এবং ওয়াশিংটন ঢাকাকে ৬১ মিলিয়নের বেশি ডোজ ভ্যাকসিন ও ১৩ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলারের বেশি আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক এযাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী অবস্থায় রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ১৯৫৮ সাল থেকেই এ দুই দেশ শিক্ষা ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। ওই সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত ৩০ দিনের এক মতবিনিময় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। তিনি আরও বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে আমাদের শক্তিশালী অংশীদারিত্ব আগামী ৫০ বছরও অব্যাহত থাকবে।
এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে পাঠানো শুভেচ্ছাবার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি