.
স্টাফ রিপোর্টারঃ নানা জটিলতায় আটকে থাকা অবশেষে হবিগঞ্জ পিসিআর ল্যাবের দায়িত্ব নিল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ। গতকাল জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে আরটি-পিসিআরসহ আধুনিক মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবরেটরি ভবনটি গণপূর্ত বিভাগের কাছ থেকে বুঝে নেয় শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ।
জানা যায়, ২০১৯ সালের ৭ জুলাই স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের এক সভায় হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ২০ শয্যার আইসোলেশন, ১০ শয্যার করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ), নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) বর্জ্য প্ল্যান্ট ও পিসিআর ল্যাবসহ মডার্ন মাইক্রোবায়োলজি ল্যাব, কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে তা বেশি দূর এগোয়নি। কিন্তু চিঠিতে প্রতিষ্ঠানের নামের জটিলতাসহ কয়েকটি কারণে তা বেশি দূর এগোয়নি।
ল্যাবটি হবিগঞ্জ শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ পরিচালনা করবে বলে মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন আসে। কিন্তু অনুমোদনের সেই চিঠিতে লিখা হয় ‘হবিগঞ্জ শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল’। যে কারণে তারা সেটি গ্রহণ করতে অনীহা প্রকাশ করে। কর্তৃপক্ষ বলছে- তাদের প্রতিষ্ঠানের নাম ‘শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ’, ‘কলেজ ও হাসপাতাল’ না। এমনকি এই নামে কোনও প্রতিষ্ঠান হবিগঞ্জে নেই। এছাড়াও তাদের পিসিআর ল্যাব স্থাপনের জন্য তাদের কাছে জায়গা নেই।
পরবর্তীতে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয় হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের সংক্রমণ রোগ প্রতিরোধ ইউনিটে ল্যাব স্থাপন করা হবে। ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে ল্যাব স্থাপনের ভবন পুনঃনির্মাণের জন্য ৫০ লাখ টাকার টেন্ডার আহবান করে গণপূর্ত বিভাগ। ওই বছরের ১১ মে দরপত্র খোলা হলেও সিলেটের মেসার্স জালাল এন্টারপ্রাইজ কার্যাদেশ পায় গত ৩০ জুলাই। ‘ল্যাবের অনুমোদন এবং বাস্তবায়ন করেছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ।
মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের আওতায় ফলে সেটি কলেজ কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করতে চায়নি। নানা জটিলতার পর অবশেষে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে গণপূর্ত বিভাগের কাছ থেকে ল্যাব বুঝে নেয় শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি