সুনামগঞ্জের কৃতিসন্তান মদরিছ মাস্টারের কিছু কৃতিত্ব –
লেখক ফরজুন আক্তার মনি।।
সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুরের কৃতি সন্তান মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম এডভাইজার,৫২ ভাষা আন্দোলনের বীর সেনানী , মানুষ গড়ার কারিগর, সর্বজন শ্রদ্ধেয় মরহুম মদরিছ মিয়া মাষ্টার আজীনব আমাদের নিকট স্মরনীয় হয়ে থাবকেন। জীবদ্দশায় তার নি:স্বার্থ অবদানের কথা আজও জগন্নাথপুরের মানুষের মুখে মুখে। নানা গুনের গুনাম্বিত মসরিছ মাষ্টারের অবদানের কথা বলে শেষ করা যাবে না। তিনি দেশের অন্যতম পাটকল নারায়ণগঞ্জের আদমজী জুট মিলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।
মদরিছ মিয়া মাষ্টার জীবদ্দাশয় ৪৫ বছর শিক্ষক পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। হাজার হাজার মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেন শিক্ষার আলো। মানুষ গড়ার কারিগর মদরিছ মাষ্টারের হাতে গড়া শিক্ষার্থীরা আজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত আছেন।তিঁনি মসজিদ,মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন সমাজসেবা কাজে জড়িত ছিলেন । তাকে সমাজের আলোকবর্তিকা বলতেন সাধারন মানুষ।
মদরিছ মিয়া মাষ্টার তার গুনে, জ্ঞানে সবার কাছে ছিলেন প্রিয়জন। সবাই তাকে অনেক সম্মান, শ্রদ্ধা ও গর্ব করতেন। তিনি ছিলেন সর্ব সাধারণের নিকট বিশ্বস্থ। তার ব্যবহার ছিল অমায়িক। তিনি সর্ব মহলে প্রিয় মুখ এবং সুপরিচিত ছিলেন।তিঁনি জগন্নাথপুরের বৃহত্তর পাটলি গ্রামের মোল্লা বাড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন।
এদিকে মরহুম মদরিছ মিয়া মাষ্টার শুধু সাধারন মানুষের কাছেই প্রিয় ছিলেন না,তিনি ছিলেন আওয়ামীলীগের প্রবীন রাজনীতিবিদ সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবদুস সামাদ আজাদের অত্যন্ত প্রিয়ভাজন ও বিশ্বস্থ লোক । আবদুস সামাদ আজাদ তার জীবদ্দশায় অত্যন্ত ভালোবাসতেন।
আবদুস সামাদ আজাদের গ্রামের বাড়ি বুরাখালি গ্রামের স্কুলে মদরিছ মাষ্টার শিক্ষকতা অবস্থায় আবদুস সামাদ আজাদের বাড়িতেই লজিং থাকতেন।
আবদুস সামাদ আজাদ যখন প্রথম পররাষ্ট্র মন্ত্রী হন তখন তার প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর ছিল জগন্নাথপুরে। তিনি হেলিকপ্টার থেকে নামার পর মদরিছ মাষ্টারই প্রথম তাকে অভ্যথ্যনা জানান। সে সময় আবদুস সামাদ আজাদের রাষ্ট্রীয় সফরের অনুষ্ঠানে তিঁনি অংশ গ্রহণ করেন। তখন যোগাযোগের মাধ্যম ছিল পোষ্ট অফিস । চিঠি আর পোষ্ট কার্ডের মাধ্যমে দাওয়াত দেয়া হতো।
আবদুস সমাদ আজাদ পোষ্ট কার্ডের মাধ্যমে সেই অনুষ্ঠানের দাওয়াত দেন মদরিছ মাষ্টারকে। সে সময় তার বাড়ি থেকে লোক পাঠান মদরিছ মাষ্টারের মোল্লা বাড়িতে । তাকে জানানো হয় পোষ্ট অফিস থেকে আবদুস সামাদ আজাদের দেয়া দাওয়াত পোষ্ট কার্ড রিসিভ করার জন্য। মদরিছ মাষ্টার সে দিন পোষ্ট কার্ড রিসিভ করে অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এতেই বুঝা যায় আবদুস সামাদ আজাদ অনেক ভালোবাসতেন মদরিছ মাষ্টারকে। তার কর্ম আর গুনে মানুষ মদরিছ মাষ্টারকে আজও মনে প্রাণে স্বরণ করছেন।
মদরিছ মাষ্টারের সন্তানরা আজ সমাজে খুবই প্রতিষ্ঠিত ও সাম্মানিত ব্যক্তি । তার আদরের সন্তান এইচ এম আশরাফ আহমদ অত্যন্ত সমান্নিত লোক। ইংল্যান্ডে পেশাগত জীবনে তিনি খুবই সফল । তিনি প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া খুবই দাপটের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠানের সাথে তিনি জড়িত। তাকে অত্যন্ত ভালো লোক হিসেবে সমাজের মানুষ জানেন।
মদরিছ মাষ্টারের আরেক সন্তান হাজী মো: শফি আহমেদ একজন সুনামধন্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ি ও নিবেদিত প্রাণ। কমিউনিটির বিভিন্ন কল্যাণমুলক কার্যক্রমের সাথে জড়িত।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি