স্টাফ রিপোর্টারঃ
ফরজুন আক্তার মনি কে কারাগারে খুন করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।(সংশোধনী) গত ১২/০৪/২৩ খ্রিস্টাব্দ কারা মহাপরিদর্শক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগে জানায়, গত ১২ /১০/২২ খ্রিস্টাব্দ সিলেট সাইবার ট্রাইবুনালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ১৭২/২১ নং একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র মূলক মামলায় জামিনের জন্য আত্মসমর্পণ করে।বিজ্ঞ আদালত জামিন না মঞ্জুর করে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করেন।
মামলার বাদী এম এ আহমেদ আজাদ তার লোকজন দিয়ে তাকে খুন করার জন্য কারাগারে কয়েক জন নারী ভাড়া করে।দুজন হত্যা মামলার আসামি হাইকোর্ট জামিন করানোর আশ্বাস দেয়।তাদের কথা মতো ১৬ই ডিসেম্বর ২০২২ থেকে ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত তাকে শারীরিক ও মানসিক আঘাতে লিপ্ত হওয়ায় দুজন আসামি নাজমিন ও হোসনাকে হাইকোর্ট থেকে জামিন করিয়ে দেয়।ফাঁসির আসামি সোহাদার জন্য তদবির চলছে। মহিলা কারারক্ষী শারমিন (০০৬৭৯), ইয়ারুন্নেছা(০০১৯৪) সহ কয়েকজন মহিলা কারারক্ষী, দুজন মেট পাহারা, মহিলা রাইটার লিপি মিলে খুনের মামলার ও ফাঁসি মামলার আসামি দিয়ে বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজ করিয়ে তারা লাভ জনক ফায়দা হাসিলে লিপ্ত থাকে।তাই দীর্ঘদিন ধরে মহিলা ওয়ার্ডে মারামারি হয়। মনি কে ১৬ ই ডিসেম্বর ২০২২ খ্রিস্টাব্দ হতে ভিন্ন ভিন্ন তারিখে অতির্কিত ভাবে মহিলা কারারক্ষী শারমিন ও ইয়ারুন্নেছার নেতৃত্বে তাদের সামনে নাজমিন,হোসনা ও ফাঁসির আসামি সোহাদা
৩০ জানুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত খুন করার উদ্দেশ্যে পিটুনী দিয়াছে।তার মাথার পিছনে আঘাত, ডান হাতে আঘাত, বাম পায়ে আঘাত, পিটে আঘাত,দুটো কানে আঘাত। উন্নত চিকিৎসার অভাবে তার দুটো কানে দূরের শব্দ শুনতে পায় না। ডান হাতের শাহাদাৎ আঙ্গুল ভেঙে বাঁকা হয়ে গিয়েছে, বাম পায়ে বাজ করে নামাজ পড়তে পারে না, পিঠ টান করে বসতে পারে না। মাথার পিছনে কাঁপুনি,কথা বললে পেচ লাগে এবং কিছুক্ষণ পরে থেমে যায়।
মাথায় আঘাত পাওয়ার কারণে চোখে ঝাপসা দেখে।বাহির হয়ে ডাক্তার দেখালে,তিনি জানান,আঙুল অপারেশন করাতে এবং ডান চোখের সমস্যা সমাধান হবে না।বাম চোখের চেয়ে ডান চোখে সমস্যা বেশি। কান এবং হাঁটুও পুরোপুরি ভালো হবে না। দুদিন কেইসটেবিল হলেও জেলারের সহযোগিতায় তারা সুপারের সামনে সঠিক তথ্য উপস্থাপন না করে তাদের স্বাধীন মতো মানহানিকর নাটক সাজিয়ে উপস্থাপন করার কারণে, সে সঠিক বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত। যা ভিডিও ফুটেজ তল্লাশি করিলে উপযুক্ত প্রমাণ পাওয়া যাবে। দু’সপ্তাহের ব্যবধানে তার ১২ কেজি ওজন কমেছে। মনি সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মৌলভীবাজার বি,এন,এস,বি আই হসপিটাল প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার পর,উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা ইস্পাহানি ইসলামিয়া ইনস্টিটিউট এন্ড হসপিটাল ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্স ও হসপিটালের চিকিৎসার অধীনে আছে।মনি জানায়, আর্টিকেল১৯ পাশে না দাঁড়ালে, কারাগারে আমার মৃত্যু হতো।এ বিষয়ে দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ নিউজ টিভির স্টাফ অফিসিয়াল মোবাইল দিয়ে যোগাযোগ করার জন্য এম এ আহমেদ আজাদ কে ফোন দিলে,ফোন রিসিভ করেনি।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি