প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ-
গত ৯,১০ জুন ঠিকানা বিহীন ভূঁইফোড় অনলাইন সহ দুটি অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাংবাদিক মনি।নিচে তা উল্লেখ করা হয়েছে –
ছোট বেলা থেকে এদেশের কিছু গুণিজন জানি না কেন এত ভালোবাসতেন? যখন ৭/৮ বয়স,তখন সাবেক এমপি দেওয়ান ফরিদ গাজী দাদা বাড়িতে আসলে দৌড়াইয়া যেতাম স্বাধীনতার কথা শুনার জন্য।আমি সহ সব বাচ্চাদের টাকা দিয়ে বিদায় দিতেন,কিন্তু আমাকে একটু বেশি ১০/২০ টাকা দিয়ে বলতেন,জানিস কেন বেশি দিয়েছি? তুই বড় হয়ে এলাকা কে আলোকিত করবে।এত টাকা বাচ্চাদের নিকট অনেক বড় ছিল।ছোট থেকেই অন্যায়,অবিচার সহ্য হত না,প্রতিবাদ করিতাম।তখন ইভটিজিংয়ের ভয়ে মেয়েদের বেশি পড়াশোনা করাতেন না।মা বাবা পরীক্ষার ফি দিলে,কারো না থাকলে দিয়ে এসে বাড়িতে বকা শুনতাম।বকা শুনতে শুনতে মনে তখন জেদ হয়,আমি নিচের ক্লাসের স্টুডেন্ট প্রাইভেট পড়িয়ে সাহায্য করবো।তখন থেকে নিজে ইনকাম করা শুরু।কানে ছিল একজন ভাষা সৈনিক, সংসদ সদস্য, গুণিজন বলেছেন এলাকা আলোকিত করবি।ভেবেছিলাম ডাক্তার হয়ে সেবা করব,কিন্তু দুর্ভাগ্য গাড়ি এক্সিডেন্টে মৃত্যুর মুখ থেকে আল্লাহ নতুন জীবন দিয়েছেন।এক্সিডেন্টের সুবাদে বাংলার অনেক গুণিজন আমার শুভাকাঙ্ক্ষী হয়ে গেলেন।ঔষধ খাওয়ার জন্য প্রতি মাসে টাকা দিতেন,সেই টাকা সব খরচ না করে চিন্তা করলাম,এলাকা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত,তাই আমেরিকান পরিচালিত স্কুল ও প্রাইভেট স্কুলের মাধ্যমে গরীব অসহায় পরিবারের বাচ্চাদের আমাদের খরচে প্রাইমারি কমপ্লিট করে হাইস্কুলে ভর্তি করে দিয়েছি।প্রাইমারি সার্টিফিকেটে প্রধান শিক্ষক হিসেবে আমার অনেক স্বাক্ষর আছে।শিক্ষকতার পাশাপাশি ব্রেনে একটু চাপ হলেও ডিপ্লোমা কমপ্লিট করে দুটি ফার্মেসি দিয়েছিলাম।চাচাতো ভাইয়ের মেয়ে আমার স্কুলে পড়ালেখা করত,তার মা তাকে বাড়িতে গিয়ে প্রাইভেট পড়ানোর জন্য আমার সঙ্গে রাগ করে এবং তাদের বাড়ির রাস্তা দিয়ে চলাচল করা অবস্থায় আমার মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।সে ভেবেছিল মোবাইলের টানে বাড়িতে যাব,আমি আরেকটি মোবাইল ক্রয় করেছি, তারপরও যাইনি। কারণ স্কুল ও ফার্মেসি চালিয়ে মাথায় বেশি শক্তি থাকিত না।ভাবি আমার কষ্ট না বুঝে আবারও ব্যাগে থাকা দুটি মোবাইল নিয়ে যায়।তখন গোষ্ঠীর মুরব্বি আরেক চাচাতো ভাই শুধু বটম ফোন উদ্ধার করে দিয়েছিলেন,আমি রাগে তা ফেরত দিয়েছিলাম,তা বড় আকার ধারণ করে আমাদের মধ্যে এখনও মিল নেই।কারণ থানাপুলিশও ভাবির নিকট থেকে ফোন গুলো উদ্ধার করে দিতে পারেননি,তখন নবীগঞ্জ কলেজের অধ্যাপক আঃলীগের সাবেক সভাপতি মুজিবুর রহমান স্যার সহ অনেক গুণিজন ও মহিলা আঃলীগের সেক্রেটারি কাকলী আপা আমার পক্ষে ছিলেন।গ্রামের ভিতরে স্কুল থাকা সত্ত্বেও কিছু ছেলে স্কুলের মেয়েদের ইভটিজিং করিত,গ্রামের মুরব্বিদের কে বিচার দিলে প্রতিপক্ষ মেনেজ করে স্কুল বন্ধ করার ষড়যন্ত্র করত।মেয়েদের মায়েরা অতিষ্ঠ হয়ে কান্নাকাটি করিলে,ততকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান গোলাম সরোয়ার হাদী গাজী চাচাকে বললাম, চাচা এলাকার মানুষ কখনও চায় না মেয়েরা শিক্ষিত হয়ে আলোকিত সমাজ দান করুক,আমি অতিষ্ঠ। তখন থানার ওসি কে ফোনে বলে দিলেন এই মূহুর্তে কায়স্থ গ্রাম গিয়ে মনি’র স্কুলের সমস্যা সমাধান করেন এবং বললেন মা গো গ্রামের মানুষ অন্ধ,তারা ভালো কিছু চোখে দেখে না,তুমি তোমার কাজের মাধ্যমে তাদের চোখ অপারেশন কর,তখন আলো দেখবে।থানাপুলিশ এসে একটি ছেলের নামে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ আদালতে দাখিল করেন।অবশেষে সাবেক এমপি দেওয়ান ফরিদ গাজী দাদার ছেলে বর্তমান এমপি শাহনেওয়াজ মিলাদ গাজী মহোদয় আপোষ মিমাংসা করার পরেও ছেলেটি আদালতে কানেধরে ওঠবস করে মামলা খারিজ হয়েছিল।ছোট থেকেই পরিবারের সবার সঙ্গে নবীগঞ্জ উপজেলা আঃলীগের সাবেক সভাপতি ১১ নং গজনাইপুর ইউপির বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মকুল কে দুলা ভাই সম্বোধন করে সম্মান শ্রদ্ধা করে যাচ্ছি, এখনও আমাদের পরিবারের সঙ্গে সুসম্পর্ক,যে কোন বিপদে, অসুস্থ হলেও ঝাপিয়ে পড়ি।শিক্ষকতা ও ফার্মেসি ব্যবসা থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ হল, আমার একজন প্রাণপ্রিয় গুরু ভাষা সৈনিক, বাংলার বুদ্ধিজীবি আঃ গাফফার চৌধুরীর সাথে যখন প্রথম ঢাকায় সাক্ষাৎ হয়, তখন কিছু সময় আলাপ করে বলেন, আমি একদিন মারা যাব,তখন আমার কলম ধরে রাখার জন্য তোমার প্রয়োজন।বললাম সাংবাদিকতা কত কঠিন,আমি কি শিখতে পারব? উত্তরে বললেন, আমি এত সুন্দর করে প্রশিক্ষণ দেবো,তুমি পাঁচ মিনিট শিখে যাবে।তখন থেকে এ পথে যাত্রা শুরু। তিঁনি আমার উস্তাদ।১৯৬১ সনের অডিয়েন্স আইন অনুযায়ী একজন ব্যক্তি সরকারি দুটো দপ্তরে দায়িত্ব পালন করতে পারে না।মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগমের বিরুদ্ধে এই নিউজ শুধু আমিই করেছি,এতটা বছর পার হয়ে গিয়েছে কোন সাংবাদিক লিখেনি।জাতির সূর্য সন্তানদের সম্মান শ্রদ্ধা করা প্রতিটি মানুষের নৈতিক দায়িত্ব, তার প্রতিবাদ করে কারাবরণ করেছি।বর্তমানে আমি খুবই অসুস্থ, আত্মীয় স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষীরা নিষেধ করেছেন মানুষ থেকে দূরে থাক। কিছু দিন আগে ভূমিহীনের এক ভিক্ষুক মহিলা কান্নাকাটি করিলে,বিচার পাওয়ার অবস্থান তৈরি করতে যাই। সেখানে গিয়ে বের হল ভূঁইফোড় নেতা,ভূঁইফোড় সাংবাদিক।অনুসন্ধানী নিউজে তা উদঘাটন হয়েছে এবং আমার পত্রিকায় ভুক্তভোগীরা বিজ্ঞাপন দিয়েছে।ক্ষেপে গিয়েছে আনমনু গ্রামের দারগা মিয়ার পুত্র বাদল। ভেবেছিলাম মেম্বার আঃ হাইয়ের বাহিনী।গত ৯,১০ জুন ঠিকানা বিহীন ভূঁইফোড় সহ দুটি অনলাইন পোর্টালে, বলেছে আমি নাকি সাংবাদিক ও মুকুল ভাইয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছি,মুকুল ভাই কে খুন করার চেষ্টা করেছি,ভাবির মোবাইল চুরি করেছি,ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগমের বিরুদ্ধে মিথ্যা নিউজ করেছি,সে অনেক কোটিপতির ছেলে তার নিকট মোবাইল ফোনে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছি,এসব তো ফোনে রেকর্ড থাকার কথা। আমি গরীব পরিবারে বেড়ে উঠেছি ঠিক, কিন্তু ছোট থেকে কর্ম করে লাখ লাখ টাকা বৈধভাবে উপার্জন করে বিলিয়ে দিয়েছি এবং আমার মতো নারীর টাকায় অনেক নামদারি ধনী বিপদ থেকে উদ্ধার হয়েছেন।আল্লাহ সহায়ক হলে,কোন ব্ল্যাকমেইল বা ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না,আল্লাহ ঠিকই রক্ষা করিবেন।আসলে বাদল নামের ব্যক্তি স্বার্থের জন্য তার মা বোনের বিরুদ্ধেও এমন মিথ্যে অপবাদ দিতে দ্বিধাবোধ করবে না।কারণ আমিও একজন বোন।এতে প্রমাণিত হয়েছে শুধু আঃ হাই মেম্বার ভাড়া করেনি,আমার প্রতিপক্ষ নাজমা বেগম ও তার বাহিনী ভাড়া করেছে।আমার ধর্ম ডকুমেন্টস ছাড়া কিছু লিখি না।সে তাদের ষড়যন্ত্রে বরাবরের মতোই আমার পরিবার সহ আমার মানসম্মান ক্ষুন্ন ও হেয় করে যাচ্ছে। আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি,যুক্ত হয়েছে নতুন সদস্য বাদল।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি