ফরজুন আক্তার মনি, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌরসভা কতৃক আয়োজিত প্রতি বছরের ন্যায় গতকাল বুধবার বিকাল ৩ ঘটিকায় আনুষ্ঠানিক ভাবে শিক্ষার অগ্রযাত্রা কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান স্মরণিকা ২০২৩ এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।অনুষ্ঠান টি পৌর মেয়র আলহাজ্ব ছাবির আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ নূর আজম শরীফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।প্রধান অতিথির বক্তব্যে নবীগঞ্জ উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক গতি গোবিন্দ দাশ জানান,আজকের অনুষ্ঠানের সভাপতি জননন্দিত মেয়র গণমানুষের নেতা আলহাজ্ব ছাবির আহমেদ চৌধুরী অসাধারণ স্বপ্ন পূরণ করে গণ মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। তিনি পৌর মেয়র হওয়ার পর থেকে পৌরসভার কোমলমতি মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান ও সংবর্ধনা দিয়ে উৎসাহ উদ্দীপনা দিয়ে যাচ্ছেন।স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে সম্মাননা ও সংবর্ধনা,ভাষা দিবসে ভাষা শহীদের সম্মাননা ও সংবর্ধনা দিয়ে সম্মানের উচ্চ শিকরে স্থান করে নিয়েছেন।এটা নবীগঞ্জ বাসীর একটি বাড়তি পাওয়া।উপজেলা আওয়ামিলীগের সাবেক সভাপতি, নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ মুজিবুর রহমান বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের যুক্তিসংগত বক্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহিত করেছেন এবং নবীগঞ্জ পৌর মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরীর বিভিন্ন কর্মকান্ড দিয়ে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন।বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষক সহ বক্তারাও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নবীগঞ্জ পৌর মেয়র আলহাজ্ব ছাবির আহমদ চৌধুরী কে বিভিন্ন মহতি কাজের প্রশংসা করে স্বপ্নবাজ মেয়র উপাধিতে সম্বোধন করেছেন।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম দাশ অনুপ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহিত করার জন্য মনীষি ও বিখ্যাত গুণীজন দের উদাহরণ দিয়ে অনেক সুন্দর উপস্থাপনায় শিক্ষার্থীদের বুঝিয়েছেন এবং তারা যেন পড়াশোনায় অমনোযোগী না হয়ে পড়ে অভিভাবকদের ও শিশুদের মধ্যে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য প্রদান করে পৌর মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরীর প্রশংসা করে বক্তব্য শেষ করেন।সভাপতির বক্তব্যে পৌর মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরী জানান, আমাদের নবীগঞ্জের প্রয়াত যত গুণীজন ছিলেন সবাই কে আমি সম্মান ও রীতিমতো শ্রদ্ধা জানানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছি।প্রতি বছর ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহিত করার জন্য বৃত্তি প্রদান ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান উৎযাপিত করেছি।নবীগঞ্জ পৌর সভার নামে কোন বিদ্যালয় ছিল না।আমি নিজস্ব অর্থায়নে ও দানের মাধ্যমে ৪০ ডিসি মিল জায়গায় সংগ্রহ করে বিদ্যালয় স্থাপন করেছি।আশা করি পৌর সভার অসংখ্য শিক্ষার্থী পড়াশোনার সুযোগ পাবে এবং সুযোগ পেয়েছে অনেকে। আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা থাকলে আমরা সেই বিদ্যালয় কে কলেজে রুপান্তর করতে পারব।পৌর এলাকার ২৫ জন প্রতিবন্ধী কে উইল চেয়ার ২০৩ মেধাবী কৃতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি প্রদান ও ৯ জন কে সংবর্ধনা দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করা হয়েছে।উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার কমিশনার, কাউন্সিলর ও কর্মচারী কর্মকর্তা এবং পৌর এলাকার কৃতি শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাবক বৃন্দ,সাংবাদিক বৃন্দ বিভিন্ন পেশার লোকজন।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি