নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌরসভায় শাখা বরাক নদীর দূষণ নিয়ে রিভার উইংস নামক একটি সামাজিক সংগঠন কতৃক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জানা যায়, নবীগঞ্জের শাখা বরাক নদী তাঁর রূপসৌন্দর্য্য দিয়ে পৌরবাসী কে মুগ্ধ রেখেছিল বহুযুগ ধরে।কয়েক বছর যাবৎ প্রভাবশালীরা অবৈধ ক্ষমতাবলে নদী কিছু অংশ ভরাট ও জবরদখল করে বাসা,দোকান নির্মাণ করে রেখেছে।এতে নদী তাঁর রূপসৌন্দর্য্য হারিয়ে মৃত রুপ ধারণ করছে।আশপাশের বাসাবাড়ির ময়লা আবর্জনা ফেললে তা ভেসে যাওয়ার রাস্তা না পেয়ে স্তুপে রুপান্তরিত হয়ে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ নষ্ট সহ ভিন্ন ভিন্ন রোগ জীবাণুর জন্ম হচ্ছে।সদ্য রিভার উইংস নামক একটি সামাজিক সংগঠন কতৃক আয়োজিত গতকাল ১৬ ফেব্রুয়ারি উক্ত সংগঠনের আহবায়ক দিনারপুর কলেজের অধ্যক্ষ তনুজ রায়ের সভাপতিত্বে ও ফয়জুর রব পনির সঞ্চালনায়
” ময়লার ভাগাড়ে ফুল ফুটুক
শাখা বরাক নদী পরিষ্কার হোক”
এই প্রতিপাদ্য বিষয় কে সামনে রেখে শাখা বরাক নদীর দূষণ প্রতিরোধ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।উক্ত সভায় অংশ গ্রহণ করেছেন রাজনৈতিক ব্যক্তি,স্কুল ও কলেজ শিক্ষক গণ সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন।তার মধ্যে বক্তব্য দিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইকবাল আহমেদ বেলাল,পৌর আওয়ামী সাংগঠনিক ওহী দেওয়ান চৌধুরী,সমাজকর্মী মোঃ আব্দুল আহাদ সাদী,ডাঃ এটিএম জাফর ইকবাল রতন,উপজেলা স্কুলের অধ্যক্ষ কাঞ্চন বনিক,সাবেক ছাত্র নেতা অলিউর রহমান অলি,প্রধান শিক্ষক সমিতির নেতা শামীম চৌধুরী ও মোঃ রুবেল মিয়া, বিশিষ্ট সমাজসেবক সাইফুল ইসলাম পারভেজ, সাংবাদিক সলিল বরন দাশ উত্তম কুমার হিমেল সহ অনেকেই।উপস্থিত ছিলেন নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম তালুকদার, হবিগঞ্জের সময় পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার জাবেদ তালুকদার সহ আরও অনেক।বক্তাদের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশ বিদেশের সর্ব শ্রেণি পেশার মানুষ শুনেছেন।
বিশ্লেষকদের মধ্যে থেকে দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ নিউজ টিভির সম্পাদক ও প্রকাশক, ডেইলী মর্নিং গ্লোরীর হবিগঞ্জ প্রতিনিধি,নবীগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কবি ও লেখক ফরজুন আক্তার মনি জানান,আমরা বক্তাদের বক্তব্য শুনে উপলব্ধি করেছি,তাদের মধ্যে ছিল প্রভাবশালী দের আতংকে কম্পিত কন্ঠস্বর।কেউ দখলমুক্ত হওয়ার জন্য জোরালো বক্তব্য দিতে দেখা যায়নি।একজন মানুষ কে যদি কোন সন্ত্রাসী হাত-পা বা মাথা কেটে নিয়ে যায় বা রক্তাক্ত করে ,তখন ব্যক্তিটি মারাত্মক আহত বা মৃত রুপ ধারণ করে।প্রশাসন যদি হাত পা উদ্ধার করে দিতে না পারেন ডাক্তার কখনও অপারেশনের উদ্যােগ নিতে পারবেন না অথবা রোগীর আশপাশে যদি ডাক্তার বসার পর্যাপ্ত পরিমাণে জায়গা না পান তাহলে চিকিৎসার কাজও চালাতে পারবেন না।তেমনি নদী দখল মুক্ত না হলে নদী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ময়লা রাখা আকাশ কুসুম কল্পনা।মৃত নদী পরিষ্কার করে কোন লাভ নেই।নদী যখন তার পূর্ণতা পাবে তখন নদীর স্রোতই সব ময়লা পরিষ্কার করে দেবে।অনুসন্ধান করে দেখা যায় বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা ক্ষমতার দাপটে নদী ভরাট করে দখলে নিয়ে বাসা,দোকানপাট নির্মাণ করেছেন।সুশীল সমাজের উপস্থিতি বিবেচনা করে দেখা যায় প্রভাবশালী দের ভয় বিরাজমান থাকার ফলে মতবিনিময় সভায় অংশ গ্রহণ ছিল অনেক কম।এখানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের হস্তক্ষেপ খুবই জরুরি।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি