স্টাফ রিপোর্টার:-নবীগঞ্জ উপজেলার স্থানীয় বাংলাবাজারে ম্যাজিষ্ট্রিটের গুড়িয়ে দেয়ার এক সপ্তাহের ব্যবধানে টিনের সিড দিয়ে তৈরী চিমুনী দিয়ে ফের চালু হয়েছে গোল্ড ও মাষ্টার ব্রিক ফিল্ড। নবীগঞ্জ- শেরপুর সড়কের পাশে ব্রিক ফিল্ড সীমানায় সৈয়দ আজিজ হাবিব উচ্চ বিদ্যালয়,সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বাংলাবাজারের ঘণবসতি এলাকায় কালো ধুয়া ছড়িয়ে পরিবেশের মারাত্বক বিঘ্ন করা হয়েছে।এছাড়াও গোল্ড ব্রিক্সের মালিক পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে এজাহার নামীয় আসামী চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদ আজিজ হাবিব হাই স্কুলের নামে বিদ্যুতের সংযোগ থেকে গোল্ড ব্রিক চালানোর সত্যতা পায় ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনী। হাসিনা সরকারের নিয়োজিত প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তা যোগসাজশে ব্যাপক উদ্যোমে ব্রিক ফিল্ড চালুর ঘটনায় জনমনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।এমনকি মেইন সড়কে ইট ও কংক্রিট রেখে যানবহান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করলেও স্থানীয় প্রশাসন রহস্যজনক নিরবতা পালন করছে। জনভোগান্তির অভিযোগ সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় ২টি অবৈধ ইটভাটা জেলা প্রশাসন গুঁড়িয়ে দেয়ার কিছুদিনের মধ্যেই বিকল্প চুলা তৈরী করে ফের চালু করেছেন ইটভাটা মালিক পক্ষ। তাদের কুটিঁর জোর নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তোলেছেন। গুড়িয়ে দেয়ার সময় ইটভাটার চুলা ও কিছু কাচাঁ ইট ধ্বংস করা হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে বিকল্প চুলা তৈরী করে পুণঃরায় ইট পুড়ানো শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাযায়, গত ১১ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রনজিৎ চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে নবীগঞ্জ উপজেলার বাংলা বাজারস্থ গোল্ড ব্রিকস ও মাস্টার ব্রিকস গুঁড়িয়ে দেয়।জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী,পরিবেশগত ছাড়পত্রের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় ৩০টি ইটভাটার মধ্যে ইতিমধ্যে ২৬টি ইটভাটা বন্ধ করা হয়েছে। ছাড়পত্র মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া নবীগঞ্জ উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় অবস্থিত কুর্শি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদুর রহমানের মলিকানাধীন গোল্ড ব্রিকস ও নিকটবর্তী ডাঃ মোঃ খয়রুল ইসলামের মালিকানাধীন মাস্টার ব্রিকস বন্ধে জেলা প্রশাসনকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠি পাঠায় পরিবেশ অধিদপ্তর। গত ১১ মার্চ দুপুরে গোল্ড ব্রিকস ও মাস্টার ব্রিকসে অভিযান চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। এ সময় ইটভাটার চুলা ও কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়। এ ঘটনার কয়েকদিন পরই মাস্টার ব্রিকস এবং গোল্ড ব্রিকস বিকল্প চুলা তৈরী করে ইটভাটায় আগুন ধরিয়ে ইট তৈরী শুরু করে। খবর পেয়ে একদল সংবাদ কর্মী সরজমিনে গিয়ে এর সত্যতা পান। এ ব্যাপারে গোল্ড ব্রিকসের সহকারী ম্যানাজার তৌফিক আহমেদের সাথে কথা বললে তিনি জানান, মৌখিকভাবে পরিবেশ অধিদপ্তরের জনৈক কর্মকর্তা অনুমতি দিয়েছেন। মাস্টার ব্রিকসের মালিক ডাঃ মোঃ খয়রুল ইসলামের ছোট ভাই দুলাল ইসলাম বলেন, কাচাঁ ইট নষ্ট হওয়ার আশংখ্যায় তারা স্থানীয় প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে ইট পুড়ানো শুরু করেছেন। যৌথ বাহিনী ইটভাটা দু’টি গুড়িয়ে দেয়ার পরও প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করেই ইটভাটা ফের চালু করেছেন। এতে স্থানীয় জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি