কলমে ফরজুন আক্তার মনি –
ভূঁ’ইফো’ড় ও ন’ষ্টদের চটকানি -গাড়ি এক্সিডেন্টে যখন আল্লাহ জীবন ফিরিয়ে দিয়েছেন তখন থেকে অনেক ঔষধ খেতে হয়।তাই নিজে বুঝেশুনে ঔষধ খেতে ডিএমএস কমপ্লিট করেছি।যে এলাকায় বড় হয়েছি নারীদের পড়াশোনা পছন্দ করতেন না।তাই প্রাইমারি পড়াশোনা কালীন ১ম ও ২য় শ্রেণির ছাত্রদের প্রাইভেট পড়িয়ে খাতা-কলম দিয়ে নারী সহপাঠীদের পাশে থাকার চেষ্টা করতাম। আমিও বারবার বাঁ’ধার স’ম্মু’খীন হয়েছি কিন্তু ভালো স্টুডেন্ট হওয়ায় শ্রদ্ধেয় শিক্ষক আমার দায়িত্ব নিয়েছেন।তাই জীবনের প্রথম পেশা ছিল শিক্ষকতা। বড় হয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি প্যারা শিক্ষক হিসেবে সরকারি বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করে নারী বি’দ্বেষ দূর করার জন্য নারীদের পাশে দাঁড়িয়ে ল’ড়াই চালিয়ে গিয়েছি।অবশেষে ঐ গ্রামেই কয়েকটি স্কুল মাধ্যমে শিক্ষা ক্ষেত্রে নারীদের এগিয়ে আনতে প্রচুর পরিশ্রম করেছি।অবশেষে নারীদের সঙ্গে বৈ’ষম্য মুক্ত হয়েছে। যখন আত্মীয় স্বজন টাকা দেওয়া ব’ন্ধ করে দেন পি’ছপা না হয়ে দুটি বাজারে দুটি ফার্মেসির ব্যবসা চালিয়ে টাকার যোগান দিয়েছি।কখনও কারো নিকট হাত পাতি নাই।ছোটো বেলা থেকেই জীবনে হা’ড় না মানা মেয়ে আমি।গ্রামের মানুষ আমাকে সাংবাদিক বলে না।এখনও তাদের মাস্টার ডাক্তার হিসাবে ডাকে।তারপর অন্যান্য চাকরিতে প্রবেশ।যখন দেখলাম প্রচুর দু’র্নীতি তখনই প্র’তিবাদ শুরু করি।ওমা!এ দেশে প্র’তিবাদ করলে ব’দলি আর কথা শুনলে খুশি।অ’প’রাধ প্র’তি’রোধ করার লক্ষ্যে সাংবাদিক পেশা হিসাবে মনোনীত করলাম।টাকা ইনকাম করার জন্য নয়।ছোটো বেলা থেকেই একমাত্র উদ্দেশ্য নারী নি’র্যা’তন,ই’ভ’টিজিং দমন।কিন্তু এ জগতে এসে দেখি বিশাল অ’প’রাধী চ’ক্রের ফাঁ’দে জনজীবন বি’পন্ন।তা দেখে তেজ বেড়ে উঠে।প্রতিরোধ করিতে বিশাল আকারে ল’ড়াই করে বারবার কা’রাব’ন্দী হয়েছি। দমিয়ে না যাওয়ার কারণে অনেক অ’পরাধ প্রতিরোধ হয়েছে।এভাবে কমপক্ষে তিনজন মানুষ সাহস করে দাঁড়ালে প্রতিটি এলাকা অ’প’রাধ মুক্ত থাকতো।বিশেষ করে জ’ন্মে কে’লেংকা’রীর মাধ্যমে জন্ম নেওয়া লোকজন সহ ভূঁই’ফোড় ও ন’ষ্ট’দের মা’নসিক আ’ক্র’মণে বেশি শি’কার হতে হয়।তারা মনযোগ ন’ষ্ট করার জন্য নানা ভাবে চ’টকানিতে লি’প্ত থাকবে।ব্ল্যা’ক’মেইল বা নানা ট্যা’গ দিয়ে অ’প’মান করার চেষ্টা করবে।যেভাবে তাদের জন্ম হয়েছে সে-ই ভাবে ই’জ্জ’তে আঘাত দেওয়ার চেষ্টা করবে।এদিক জয় করতে পারলেই একজন যোদ্ধা সফল।এটা হলো কাজে কাজী আর যারা বিদেশিদের পুরাতন জামা ফু’টপা’ত থেকে ক্রয় করে ইস্ত্রির মাধ্যমে নতুন করে পরিধান করে সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ফু’টপা’তের একশো টাকার সেন্টের ঘ্রাণ নিয়ে প’তি’তা প’ল্লী থেকে ঘুরে এসে সমাজে বাহাদুরি দেখায় তাদেরকেই ভূঁ’ইফো’ড় ও ন’ষ্ট বলে।এসব বে’জন্মা সহ নানা অ’পরা’ধীর বি’রুদ্ধে হাড় না মেনে একমাত্র আমিই দাড়িয়েছি হয়তো নতুন প্রজন্মের নারীদের মধ্যে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি