নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি
কটোর লকডাউনের মাঝে নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের জনতার বাজারে বসানো বিশাল পশুর হাট নির্দিষ্ট সময়েই বন্ধ করে দিলেন উপজেলা প্রশাসন। গতকাল শনিবার ৩রা জুলাই সকাল থেকেই ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ঘেষা জনতার বাজারে প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে বসানো হয় বিশাল পশুর হাট। ফলে করোনা সংক্রামনের আশংখ্যায় আতংকিত এলাকাবাসী। এই খবর মিডিয়ায় প্রচার হলে বিকালে একদল পুলিশ নিয়ে ছুটে যান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) উত্তম কুমার দাশ। তিনি নির্দিষ্ট সময় বিকাল ৫টার দিকে বাজার খালি করেন। এ ঘটনায় উপজেলার সর্বত্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
সুত্রে জানাযায়, দিনারপুর জনতার বাজারে অনুষ্টিত পশুর হাট টি দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে বাজার বসানো হয়। এদিকে দেশের চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার সারা দেশে কটোর লকডাউন ঘোষনা করেন। সেনাবাহিনীসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর সার্বিক সহযোগিতায় লকডাউন বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসন দিবারাত্রি কাজ করে যাচ্ছেন। স্বাস্থ্য বিধি অমান্যকারীদের অর্থ দন্ড দেয়া হচ্ছে। হোটেলের ভিতরে ২/৩ জন বসা থাকলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে করা হয় জরিমানা। প্রায় জনশুন্য হাট বাজার। এমন পরিস্থিতিতে নবীগঞ্জের জনতার বাজারে বিশাল পশুর হাট বসায় মানুষের মাঝে চরম আতংকসহ নানা আলোচনার সৃষ্টি হয়। সেখানে স্বাস্থ্য বিধি মানা হয়নি। কারো মুখে মাস্ক ছিলনা। বাজার ইজারা টোল আদায় করার দায়িত্বে ইউএনও অফিসের অফিস সুপার বকুল দত্ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাস্ক বিহীন প্রচুর লোকের সমাগম হলে করোনা সংক্রামনের ঝুকিঁ থাকে শতভাগ। তারা বলেন, কোন ভাবেই পশুর হাটে বিশাল আয়োজন সময় উপযোগী নয়। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, পশুর হাট নিয়ে সরকারী নির্দেশনায় বিধি নিষেধ নেই। তবে স্বাস্থ্য বিধি বাজার করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। বিধি লংঘনের অভিযোগ পেয়ে বিকালে বাজার বন্ধ করা হয়েছে। তিনি চলমান লকডাউন বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি