ফরজুন আক্তার মনি,(সম্পাদক ও প্রকাশক)।।
কিংবদন্তী গণসঙ্গীতশিল্পী ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ এর মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি গাজীপুর -৫ আসনের এমপি মেহের আফরোজ চুমকি । এই শিল্পীর মৃত্যুতে শোক জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, গণসঙ্গীতকে জনপ্রিয় করে তুলতে তার ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এ সময় সাবেক প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ এর মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি গাজীপুর -৫ আসনের এমপি মেহের আফরোজ চুমকি তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শুক্রবার (২৩ জুলাই) রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে জনপ্রিয় গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর করোনায় আক্রান্ত হয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন ছেলে মাশুক আলমগীর রাজীব। মৃত্যুকালে ফকির আলমগীরের বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে রেখে গেছেন।
এর আগে, গত ১৫ জুলাই থেকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ফকির আলমগীরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১৯ জুলাই তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ষাটের দশক থেকে গণসংগীতের সঙ্গে যুক্ত ফকির আলমগীর ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী ও গণশিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেব ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে শামিল হন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি যোগ দেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে।
স্বাধীনতার পর ফকির আলমগীর পপ ঘরানার গানে যুক্ত হন। পাশ্চাত্য সংগীতের সঙ্গে বাংলার লোকজ সুরের সমন্বয় ঘটিয়ে তিনি বহু গান করেছেন। সংগীতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৯৯ সালে সরকার তাকে একুশে পদক প্রদান করে।
এছাড়াও সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য এই বরেণ্য সংগীত শিল্পীকে শেরেবাংলা পদক, ভাসানী পদক, সিকোয়েন্স অ্যাওয়ার্ড অব অনার, তর্কবাগীশ স্বর্ণপদক, জসীমউদ্দীন স্বর্ণপদকসহ নানা পদকে ভূষিত করা হয়।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি