নাজনীন নাবিলা, ঢাকা থেকে।।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চুল কাটার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের বিরুদ্ধে মিলেছে প্রমাণ। অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। তবে এ ব্যাপারে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তদন্ত কমিটির প্রধান ও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লায়লা ফেরদৌস হিমেল। তিনি জানিয়েছেন, এতে বাধাগ্রস্ত হতে পারে বিচার প্রক্রিয়া। যমুনা নিউজকে তদন্ত কমিটির প্রধান লায়লা ফেরদৌস হিমেল জানান, তদন্ত রিপোর্ট সিলগালা করে জমা দেয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর। তারপর হয়েছে সিন্ডিকেট মিটিং। সেখানে যা আলোচনা হয়েছে তা এখন প্রকাশ করা সম্ভব নয়। শাস্তির ব্যাপারে কী সুপারিশ করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে সে ব্যাপারেও কিছু জানাননি তদন্ত কমিটির প্রধান। তিনি জানান, একজন শিক্ষিকার নামেই অভিযোগ এসেছে। অন্য কারো নাম আসেনি। প্রসঙ্গত, গত ২৬ সেপ্টেম্বর পরীক্ষার হলে ১৪ ছাত্রের মাথার চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ ওঠে ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার জেরে একজন শিক্ষার্থী আত্মহত্যার চেষ্টা করলে এ নিয়ে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানার অপসারণ দাবিতে আন্দোলন ও অনশন শুরু করেন। পরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত করার জন্য লায়লা ফেরদৌস হিমেলকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। অভিযুক্ত ফারহানা চুল কাটার কথা অস্বীকার করলেও এর প্রমাণস্বরূপ সিসিটিভির কিছু ফুটেজ জনসম্মুখে এসেছে। এম ই/
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি