নাজনীন নাবিলা,ঢাকা থেকে।।।
পটুয়াখালী সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১টি মাছ ধরার ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে থাকা শতাধিক জেলে উদ্ধার হলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ৩৪ জেলে। নিখোঁজ জেলেদের ফিরে পেতে আহাজারি স্বজনদের। এদিকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে হাজার হাজার মাছ ধরার ট্রলার কিনারে এসে আশ্রয় নিয়েছে।
কেউ সন্তানের জন্য, কেউ ভাই অথবা স্বামীর খোঁজ না পেয়ে এখন পাগলপ্রায়। থামছে না তাদের আহাজারি। প্রিয়জনদের খুঁজতে মৎস্য ঘাটে ঘাটে ঘুরছেন স্বজনরা।
বঙ্গোপসাগরে একের পর এক ডুবছে মাছ শিকারি ট্রলার। আর বেড়েই চলেছে জেলে নিখোঁজের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় পটুয়াখালীতে ১১টি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় শতাধিক জেলে উদ্ধার হলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ৩৪ জেলে। এসব জেলেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে উদ্ধারের দাবি স্বজন ও সহকর্মীদের।
শুক্রবার (১৯ আগস্ট) ভোর থেকে হঠাৎ করেই শুরু হয় ঝড়ো হাওয়া। উত্তাল হয়ে ওঠে বঙ্গোপসাগর। সাগরে জাল ফেলে টিকে থাকতে পারছিলেন না জেলেরা। তাই জাল উঠিয়ে কিনারের দিকে আসার পথেই ঢেউয়ের তোড়ে বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন স্থানে ডুবে যায় ১১টি ট্রলার।
জেলেরা জানান, সাগরের অস্বাভাবিক ঢেউ এবং ঝড়ের কবলে পড়ে তাদের ট্রলারগুলো ডুবে যায়। এ সময় পাশে থাকা অন্য ট্রলারের মাধ্যমে অন্তত ১১৬ জেলে উদ্ধার হলেও নিখোঁজ হন ৩৪ জেলে। উদ্ধার জেলেরা কুয়াকাটা ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল ও মহিপুর উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মহিপুর মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা জানান, ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলো ছাড়াও বেশ কিছু ট্রলার নিখোঁজ রয়েছে। যেগুলোর কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। তাই নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে সাগরে উদ্ধার জাহাজ দিয়ে অভিযান চালানোর জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান তারা।
তবে কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আখতার মোরশেদ জানান, নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে সাগরে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি