ফরজুন আক্তার মনি :-ঢাকায় আন্তর্জাতিক শুদ্ধ সাহিত্যচর্চা পরিষদের আয়োজনে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের মিলনায়তনে গতকাল ২৩ ফেব্রুয়ারি রোজ শুক্রবার বিকাল ২ ঘটিকায় গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন এবং সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য কবি ও লেখকদের সাহিত্য সম্মাননা অনুষ্ঠান জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং সেই সঙ্গে উক্ত পরিষদের বার্ষিক সম্মেলন পালন করা হয়।অনুষ্ঠান দুধাপে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রাহেলা আক্তার সঞ্চালনায় সোমনাথ চক্রবর্তী।ভারত সহ বাংলাদেশের প্রতিটি বিভাগের কবিদের যাচাই-বাছাই করে সম্মানিত করেছেন উক্ত পরিষদ।প্রথম ধাপে উদযাপিত হয়েছে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী এবং দ্বিতীয় ধাপে গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন সহ কবিদের সম্মাননা প্রদান। প্রথম ধাপে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমি পুরষ্কার প্রাপ্ত ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব রেজা উদ্দিন স্টালিন,প্রধান আলোচক বিশিষ্ট কবি ও অভিনেতা সোহেল রশিদ,উদ্বোধক কবি সংগঠক ও নাট্যকার মোসলেহ উদ্দিন, বিশেষ আলোচক কবি লেখক বীর মুক্তিযোদ্ধা শুক্কুর আলী,আলোচক বাংলাদেশ পোয়েটস ক্লাবের সভাপতি সাহিত্য গবেষক ও কবি মোস্তাফিজুর রহমান,বিশেষ অতিথি ভারতীয় কবি ও লেখক সুশান্ত গোস,চৈতালী দাশ মজুমদার সহ আর অনেক।দ্বিতীয় ধাপে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এস এম মুজিবুর রহমান,প্রধান আলোচক কবি ও গবেষক মাহমুদুল হাসান নিজামী, উদ্বোধক জার্নালিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুর রহমান সহ বাংলাদেশ ও ভারতের অনেক গুণীজন।প্রধান অতিথি বিচারপতি এস এম মুজিবুর রহমান বক্তব্যে জানান,কবিদের পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করতে হয় না,স্বয়ং আল্লাহ তাঁদেরকে নিজগুণে গুণান্বিত করে সৃষ্টি করেছেন।বাংলা ভাষা নিয়ে গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে ভাষা শহীদের সম্মান ও শ্রদ্ধা জানান এবং বলেন কবিদের আসরে এসে আমার অনেক ভালো লেগেছে,আজ থেকে আপনারাও আমার বন্ধু।ভারতীয় কবি ও লেখক সুশান্ত গোস বক্তব্যে বলেন,আমরা একদিন চলে যাব নতুন প্রজন্ম কে সাহিত্যমুখী তৈরিতে উৎসাহ জাগাতে হবে এবং তাদের কবি মন ফুটিয়ে তুলতে হবে তা না হলে সাহিত্য বিলুপ্তির রুপ ধারণ করবে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি