স্টাফ রিপোর্টার ঃ চারদিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার কমপক্ষে বেশ কয়েকটি শহর ও গ্রাম প্লাবিত হয়েছে । এসব গ্রাম নিচু এলাকার কারণে বাড়িতে , শহরে বাসা , সরকারি – বেসরকারী অফিস , দোকান পাঠ ও রাস্তায় পানি উঠেছে । ডুবে গেছে ফসলি কৃষি জমি ও মৌসুমি সবজি । এদিকে উপজেলার খোয়াই নদীর পানি চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা পয়েন্ট বিপদ সীমার ১৯৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে শায়েস্তাগঞ্জে ১১১ সেন্টিমিটার প্রবাহিত হচ্ছে । এছাড়া সুতাং নদীর পানি বাঁধ উপচে কয়েক শত হেক্টর কৃষি ফসলি জমি আউশ ফসল তলিয়ে গেছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলেও নতুন করে আর-ও কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হতে পারে। জানা যায় , ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বিপুল পরিমাণ বৃষ্টির কারণে ও উজানের ঢলে পানি নামছে খোয়াই নদী দিয়ে এবং পাহাড়ি ঢলের পানি সুতাং নদী দিয়ে আসছে । এতে খোয়াই ও সুতাং নদী রুদ্র মূর্তি ধারণ করেছে ,যা বিগত ৩০ বছরেও দেখা যায় নি এসব পানি। খোয়াই ও সুতাং নদীর পানির স্রোত বেশি । তবে চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা সীমান্ত পয়েন্ট থেকে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় খোয়াই নদীর বাঁধের বিভিন্ন স্থানে স্থানে নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশংকা রয়েছে । দীর্ঘ বছর ধরে বাঁধ মেরামত না করায় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি স্থান । যে কোনো সময় নদীর বাঁধ ভেঙে বন্যা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে । খোঁজ নিয়ে জানা যায় , উপজেলার পৌরশহরে পূর্ব লেঞ্জাপাড়া, পুরান বাজার , কুটির গাও ও আলাপুর আংশিক এলাকা এবং শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়নের আলাপুর আংশিক , চরহামুয়া , হামুয়া এলাকা রয়েছে খুব ঝুঁকির মধ্যে। এসব এলাকার হাজার হাজার মানুষ রয়েছে আতংকে । অপর দিকে সুতাং নদীর পানি বাঁধের ওপর দিয়ে যাওয়ায় শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়নের মররা, ডাকি জাং গাল , নিশাপট, ফরিদপুর, কাজিরগাঁও , লাদিয়া , কদম তলী সহ আরো কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়ে রাস্তা, বাড়ি ঘর উঠানে পানি, জমেছে এবং সকল সবজি , কৃষি ফসল নষ্ট হচ্ছে ।অন্যদিকে নুরপুর ও ব্রামণডোরা ইউনিয়নে এলাকা একই অবস্থা রয়েছে ।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি