নিজস্ব প্রতিবেদক :- হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে বিশিষ্ট হ্যাকার ও ব্ল্যাকমেইল চক্রের লিডার শিহাব আহমেদ নামের এক লোক প্রকৃতির মহিমায় ধরাশায়ী। সে এবং তার চক্রের ফাঁদে জনজীবন ছিন্নবিচ্ছিন্ন হওয়ার মারাত্মক ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, নবীগঞ্জের ৫ নং আউশকান্দি ইউপির উত্তর দৌলতপুর গ্রামের লেচু মিয়ার পুত্র শিহাব আহমেদ(৪০)নামের এক লোক দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ নিউজটিভির সম্পাদক ও প্রকাশক, ডেইলি মর্নিং গ্লোরীর জেলা প্রতিনিধি ও নবীগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক
ফরজুন আক্তার মনি’র পরিচিত নন।তার পরিবারের কোনো লোকের সঙ্গে মনি’র পরিবারের কারো দ্ব’ন্দ্ব নেই।তবে বিভিন্ন সুত্র থেকে জানা যায়,সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগমের সাথে শিহাবের খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত।নাজমা বেগম সহ তার লোক সেলিনা পারভীন ও এম এ আহমেদ আজাদের স্ত্রীর দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে মনি ২০১৯ সালে কারাবন্দী হন।ততকালীন সময় থেকে নাজমা বেগম কে খুশি করতে মনি কে ব্ল্যাকমেইল সহ সা’ইবার বো’লিং করে যাচ্ছেন শিহাব।তার ফেইসবুক ওয়াল থেকে জানা যায় নবীগঞ্জ উপজেলায় বিএনপির একজন নেতা এবং নিশ্চিত করেন এলাকার লোকজন। মনি কে যে মামলায় ফাঁসানো হয় তা ফেইসবুক আইডি সংক্রান্ত বিষয়।তার ফেইসবুক আইডি একাধিক বার হ্যাক হওয়ায় ততকালীন সময় নবীগঞ্জ থানায় জিডি করা হয়েছে।যে মোবাইল চিজ করে ফাঁসানো হয় সেই মোবাইল ৩ মাসে চারজনের হাত চুয়ে টাকার অভাব দেখিয়ে মনি’র নিকট বিক্রির তথ্য পাওয়া যায়।বিক্রয় নামায় জনপ্রতিনিধি সহ এলাকার মানুষের লিখিত সাক্ষী রয়েছে।ব্ল্যাকমেইল চক্রের গুম খুনের হাত থেকে বাঁচতে নবীগঞ্জ থানায় বিস্তারিত জানাতে এসে সেই দিন মনি বন্দী হন এবং উক্ত মোবাইলটি চিজ করা হয়।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় মনি কে পুরুষ সাজিয়ে সাইবার বোলিংয়ে হেয় ও সংবাদ প্রকাশ করা হয়।এতে তার ও তার পরিবার কে হেয় সহ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত করে মানসম্মান ধুলোর সঙ্গে মিশিয়ে চক্রটি নানা ভাবে উল্লাসে মেতে উঠে।এতে মানসিক যন্ত্রণায় মনি’র বাবাও মারা যান।অন্য দিকে তার স্বজনরা ব্ল্যাকমেইল চক্র কে বের করার জন্য আড়ালের তদন্তে এক্টিভ ছিল এবং মহামান্য হাইকোর্টে মনি ন্যায় বিচার পান।ইদানীং নাজমা বেগমের লোকদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মনি গত ২০ নভেম্বর ২০২৫ ইং সকাল ৯:২০ টায় সুশীল সমাজের দৃষ্টি চেয়ে ফেইসবুকে একটি পোস্ট করেন,যাহার লিংক
https://www.facebook.com/share/p/19SifTdwYy/
। উক্ত পোস্টে শিহাব আহমেদ ঐ চিজ করা মোবাইলের ফেইসবুক আইডির লগইন তালিকা দিয়ে হেয় করার উদ্দেশ্যে একটি কমেন্ট করেন।উক্ত তালিকায় মনি’র ফেইসবুক আইডি সহ উক্ত মোবাইলের আগের মালিকানা ফেইসবুক আইডি দেখা যায়।ঐ মালিকানা ফেইসবুক আইডি দিয়ে মনি কে পুরুষ সাজিয়ে সাইবার বোলিংয়ের মাধ্যমে হেয় সহ মাননীয় আদালতে একটি রায় করানো হয়।সাংবাদিক ফরজুন আক্তার মনি জানান,গত ২২ নভেম্বর ২০২৫ ইং সকাল ১১:৫০ শিহাবের কমেন্ট দিয়ে আমার ফেইসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট করি,যাহার ফেইসবুক পোস্ট লিংক https://www.facebook.com/share/p/1HHboqJ8sQ/। সেই পোস্ট দেখে
তার ঘনিষ্ঠজনেরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে ডিলিট করার জন্য অনুরোধ করেন।শিহাবের সেই কমেন্ট প্রমাণ করেছে আমার ফেইসবুক আইডি শিহাব হ্যাক করেছেন এবং ঐ ব্ল্যাকমেইল চক্রের লিডারও বটে।শিহাব প্রশাসনের চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন তার মতো ব্রিলিয়ান্ট হ্যাকার দেশের মাটিতে খুবই কম।জিডি থাকা সত্ত্বেও তাকে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসন ব্যর্থ।সেই মামলায় ঐ চক্রের সদস্যরাই বাদী ও সাক্ষী দিয়ে আমাকে আইনী নিপীড়ন করেছে, যা দীর্ঘদিনে তথ্য সংগ্রহ করেছি।শুধু আড়ালের তদন্তে নয়,প্রকৃতির মহিমায় ধরাশায়ী বিএনপি নেতা ক্ল্যাকমেইল চক্রের লিডার বিশিষ্ট হ্যাকার শিহাব আহমেদ।