ফরজুন আক্তার মনি,(কলামিস্ট )অনুসন্ধান করলে দেখা যায় পৃথিবীতে বিভিন্ন টাইপের জঘন্য লোক বসবাস করছে। টাকার বা শরীরের গরমে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ কে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করছে। আকাম-কুকাম ঢেকে রাখতে বা সমাজে শুভাকাঙ্ক্ষী তৈরি করতে বড় বড় উৎসব করে দামি কিছু খাওয়াচ্ছে। তাদের যাবতীয় আকাম-কুকাম সমাজে প্রকাশ করতে যখন আল্লাহ কোনো সাহসী আদর্শবান বীর কোন সৈনিক সৃষ্টি করেন,তখন তা মিথ্যাতে ভাসিয়ে দিতে সমাজে সাধু সেজে ইসলামি বিভিন্ন উৎসবে ভাব দেখায়।আকাম-কুকামের সামনের দরজায় ইসলামি সাইনবোর্ড লাগাতে মরিয়া উঠে । সাইনবোর্ডে যখন কাজ হয় না তখন মক্কা মদিনা গিয়ে নামের আগে আলহাজ্ব উপাধি লাগিয়ে সন্যাসী ভাব দেখায়।কিন্তু ভিতরে নিয়মিত আকাম-কুকাম ও মানুষ নির্যাতন চলমান। হাদিসে রয়েছে সমাজের এসব ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া ব্যক্তি হাজারবার হজ্জে গেলেও তা মহান আল্লাহ কবুল করিবেন না। উদাহরণ – হাদিসে রয়েছে এক কোটিপতি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ কে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন ও ডাকাতি করে কোটিপতি হয়ে একশবার হজ্জে গিয়েছে। আরেকবার হজ্জে গিয়ে বলে হে আল্লাহ আমার ভাগ্য কতই ভালো, মানুষ একবার হজ্জে আসতে হিমসিম খেতে হয়।আমি এবার একশো একবার হজ্জে আসতে পেরেছি। আল্লাহ সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিয়ে বলেন,হে নাদান হে নাফরমান তুই একশো একবার কেন, হাজার বার হজ্জে আসলেও তোর একটা হজ্জও আমি কবুল করিবো না। আমি আজও তোর নাম হাজীর খাতায় লিখিনি।তখন সে বলল, হে আল্লাহ কারণ কী ? আমি লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে মক্কা মদিনা এসেছি। কেন কবুল করবেন না? আল্লাহ বললেন, হে নাদান হে নাফরমান একদিন তোর স্ত্রীর সঙ্গে তোর মাকে তর্ক বির্তক দেখেছিলে তখন স্ত্রী কে খুশি করার জন্য মা’কে লাথি দিয়ে ঘর থেকে দরজার বাহিরে ফেলে দিয়েছিলে।সেদিন তোর মা কলিজায় অনেক আঘাত পেয়ে কান্না বিজড়িত কন্ঠে বলেছিল, হে আল্লাহ আমার ছেলেকে তুমি জাহান্নামের নিম্ন স্তরে পৌঁছে দিও। আমার কলিজায় ভীষণ কষ্ট পেয়েছি। সেদিন তোর নাম জাহান্নামে লিখে রেখেছি। আর অন্য দিকে হাজার হাজার মানুষের অভিশাপ তোর উপর। সেই মানুষ ছাড়া ক্ষমা করার অধিকার আমার নেই।অভিশপ্ত জীবন আল্লাহ কখনও ক্ষমা করেন না। হে আল্লাহ সুশিক্ষায় শিক্ষিত করো মোরে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি