ফরজুন আক্তার মনিঃ (সম্পাদকীয়)- ছোট থেকে মানবিক কাজে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে ভালো মন্দ তুলনা করতে বা জীবনের হিসাব ভুলে গিয়েছি।নির্যাতিত,নিপীড়িত, লাঞ্চিত,বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায় ও জাতির সূর্য সন্তানদের সম্মান সমাজে যথাযথ বজায় রাখতে নীতির অভিযান ও সংগ্রাম চালিয়ে আজ নিজেই নির্যাতিত,নিপীড়িত,লাঞ্চিত, বঞ্চিত,অত্যাচারিত ও মৃত্যুর ঝুঁকিতে।তাই মানুষের মানবিক দিকের প্রসারণ নিয়ে অনুভব শুরু করি।দেখলাম ঢাকায় স্থানীয়দের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলার লোকজনও আন্তরিক। ডাক্তার দেখাতে হসপিটাল বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সেবক গণ খুবই আন্তরিক।এক্সিডেন্টে ফুসফুস সমস্যা, তাই মাস্ক পড়তে পারি না,তাদের টাকায় মাস্ক কিনে দিয়ে বলেন,আপু হাতেই রাখেন।ছোটখাটো মেডিকেল টেস্ট বিল তারাই পরিশোধ করেছেন।ডাক্তার গণ সুন্দর ব্যবহারের মধ্য দিয়ে ফ্রী চিকিৎসা দিয়েছেন।এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াতের সময় রাস্তা না চিনলে ঢাকা শহরের মানুষ আন্তরিকতার সহিত রাস্তা দেখান,এমনকি ট্রাফিক পুলিশ ভাইয়েরা গাড়িতে উঠিয়ে দেন বা রাস্তা পার করে দেন,গাড়িতে বসার সীট না থাকলে উঠে নারীদের বসার সুযোগ করে দেন।নাস্তা খেতে অনুরোধ করেন।একদিন ঢাকায় একটি প্রতারক চক্রের সন্ধান বের করে দিলাম।দেখলাম ঐ জায়গার কর্মকর্তা আমার ফ্রেন্ডের বড় ভাই।তিনি অবাক হয়ে বললেন মনি আপু আমাদের আশেপাশে ওদের চলা,কিন্তু আমরা সন্ধান পাইনি,আপনাকে অবশ্যই মিষ্টি খাওয়াতে হবে।বারবার ফোন দেওয়ায় মিষ্টি খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম শনিবার। যেতে দেরি হচ্ছে, তাই গেইটে এসে অপেক্ষা করছেন।আমাকে দেখেই বলেন, আপু আপনার জন্য আমাদের স্যারও অপেক্ষা করছেন।অনেক লজ্জা পেয়েছি,একজন নারী স্যার অপেক্ষায়।নারী স্যার বললেন তোমার মুখ থেকে সিলেটের ভাষায় সিলেটের গল্প শুনার অপেক্ষায় আছি।অচেনা মুখে এমন কথা শুনে লজ্জাবোধ করছি।তারপরও কৌশলে কিছু কথা শুনে নিলেন। বললেন রাস্তায় অনেক জ্যাম আমাদের গাড়ি দিয়ে তোমার গন্তব্য পৌঁছে দেব,অসম্মতি প্রকাশ করায় দুতলা বাসের উপর তলা পুরোটাই ভাড়া করে দিলেন। জীবনে যাদেরকে কখনও দেখিনি বা চেনাজানা নেই,তাদের মধ্যে এত মানবিক গুণ দেখে পুরোপুরি হতবাক।এখন এলাম নিজ এলাকা হবিগঞ্জ – আমাদের হবিগঞ্জ গাড়িগুলোতে নারীদের এত সম্মান দিতে দেখিনি। কোন নারী যদি হালকা প্রতিবাদ করে বলে ভাই একটু ভালো ভাবে বসেন?উত্তরে বলে প্রাইভেট গাড়ি নিয়ে চলাচল কর।ঐ এলাকার মানুষকে এতই সম্মান শ্রদ্ধা করি,তাদের কারো কোন বিপদ হলে,মনে হয় আমার নিজেরই সমস্যা। নিজের জীবন বা ভবিষ্যতের কথা কখনও ভাবিনি,ভেবেছি ঐ এলাকার মানুষের সুখদুঃখ।যাদের জন্য না জেনে না বুঝে বড় কিছু করে দিয়েছি,তারাই আজ আমাকে খুন করার জন্য বেপরোয়া।যেমন ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগমের নির্বাচনে একই ইউপির বোন হিসাবে কি পরিমাণ টাকা ও পোস্টার দিয়েছি,নবীগঞ্জ শেরপুর রোড আশা ভিলা ও পানির কোম্পানির একাংশের মালিক কাপ্তাই ভাই, সাবেক কৃষক লীগের সভাপতি,দলিল লেখক আঃ নুর ভাই,মহিলা আঃলীগের সেক্রেটারি সইফা রহমান,নাজমা বেগমের স্বামীর বন্ধু মাসুদ ভাই কে জিজ্ঞেস করলে জানতে পারবেন।তখন সময় আমার এক শুভাকাঙ্ক্ষী ডাক্তার আপু জাপানের ভিজিট ভিসা দেওয়ার জন্য আমার একাউন্টে জমা রাখার জন্য অনেক টাকা দিয়েছিলেন,সব টাকা খরচ করার অপরাধে ঐ আপু রাগে দুবছর যোগাযোগ বন্ধ রাখেন।মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সেলিনা পারভীনের উপর কত বড় ঝড় গিয়েছিল,তা অনেকেরই জানা,তার মধ্যে উনার বাসাও চুরি হয়,কারো সাথে যোগাযোগ করার মতো একটি মোবাইলও ছিল না।ঐ সময় ডাক্তার আপু আমাকে একটি আইফোন 4s গিফট করেছিলেন, সেই মোবাইল তিনি কে গিফট করি।উনার সীমকার্ড তল্লাশি করলে আমার মোবাইল ব্যবহারের ইতিহাস পাবেন এবং উনার বিপদে কত টাকা খরচ করেছি,বাসা মালিক সহ দেলোয়ার ভাই ও হারুন মামা কে জিজ্ঞেস করলে জানতে পারবেন।কিন্তু তাদের কাছ থেকে বিনিময়ে কিছু গ্রহণ করিনি বা টাকা ফেরত আনিনি। তাদের বিরুদ্ধে কিছু অন্যায়ের সামান্য প্রতিবাদ করায় সেই দিনের উপকার ভুলে গিয়ে আজাদ গ্রুপ নিয়ে ফেইসবুক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমার মাকে আমাকে কটুক্তি করিলে,খুন-গুম অপহরণের চেষ্টার গোপন ভিডিও কালেকশন করে আইনের আশ্রয় নিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি।উল্টো আমাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাগারে প্রেরণ করে ক্যামেরা সহ মোবাইল জব্দ করে ডকুমেন্টস গুলো গুম করা হয়েছে। তারা একের পর এক মিথ্যে ষড়যন্ত্র মূলক মামলা, হামলা সহ আমাকে খুন করতে চায়।এসব অন্যায় সুশীল সমাজ দেখেও নীরব,অনেকে তাদেরকে সাপোর্ট করে যাচ্ছেন।উচু মাপের লোকজনের ছত্রছায়ায় দাপটে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।মানবিক দিক মনে হচ্ছে বিলীন।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি