নাজনীন নাবিলা, ঢাকা থেকে। ।
নিরাপত্তার প্রশ্ন থাকলেও ধানমন্ডি-৩২ নম্বরের বাসভবন ছেড়ে গণভবনেও যাননি তিনি। সাপ্তাহিক ছুটির দিনটিতে পরিবারের সান্নিধ্যেই কাটাতেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু, দেখা করতে আসা রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের কাউকেই ফেরাতেন না তিনি। কেমন ছিল বঙ্গবন্ধুর শেষ দিনগুলো?
অন্যান্য সময়ের মতোই জীবনের শেষ দিনগুলোতেও স্বাভাবিক দিনযাপন করছিলেন বঙ্গবন্ধু। কর্মদিবসগুলোতে অফিস আর সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ধানমন্ডির বাসভবন। ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল একেবারেই ঢিলেঢালা। বঙ্গবন্ধুকে বিভিন্নভাবে সতর্ক করা হয়েছিল আসন্ন বিপদ নিয়ে। তাকে অনুরোধও করা হয়েছিল গণভবনে থাকার জন্য। কিন্তু, গণভবনে থাকলে সাধারণ মানুষের সাথে সংযোগ কমবে বলে বঙ্গমাতাও কখনও ৩২ নম্বরের বাড়ি ছাড়তে চাননি।
বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিব ড. মসিউর রহমান বলেন, ‘সরকারি সুযোগ-সুবিধা বা আরাম আয়েশের ব্যাপারে তাদের তেমন কোনও খেয়াল ছিলো না। তবে, সরকারি বা রাজনৈতিক কাজের জন্য মাঝে মাঝে সরকারি বাসভবন ব্যবহার করতেন।’
বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিব ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, ‘যারা স্বাধীন বাংলা আলোবাতাসে বড় হয়েছে তারা কিভাবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারলো।’
পঁচাত্তরের ১০ আগস্ট ছিল রবিবার। দিনটি ছিল সাপ্তাহিক ছুটির দিন। বাড়িতে লুঙ্গি, গেঞ্জি পড়তেন বঙ্গবন্ধু। ছুটির দিন সব আত্মীয় স্বজনকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে আসতে বলতেন বঙ্গবন্ধু। সবাইকে নিয়ে মধ্যাহ্নভোজ সারতেন তিনি। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খেলতেন ব্যাডমিন্টন। আট দশটা মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারের মতই একেবারে সাদামাটা জীবনযাপন করত বঙ্গবন্ধু পরিবার।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি