নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি ॥
নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের মুক্তাহার গ্রামে ২০১৯ সালে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়েরী মামলায় ষড়যন্ত্র মূলকভাবে আসামী দেয়া হয় ওই ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী শৈলেন চন্দ্র দাশকে। ঘটনার সাথে জড়িত না থাকলে রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিহিংসার শিকার হন শৈলেন দাশ। ওই মামলায় দীর্ঘ তদন্ত শেষে বিগত ২৪/০২/২০২১ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালতে শৈলেন দাশসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জসীট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। রবিবার (১৯ সেপ্টেম্ব) মামলায় সম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও ইউপি আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শৈলেন চন্দ্র দাশসহ ৮ জন বিজ্ঞ আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। দীর্ঘ শুনানী শেষে আদালত অশোক চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর করেন। বাকী আসামী শৈলেন দাশসহ ৭ জনকে জেল হাজতে প্রেরন করেছেন।
উল্লেখ্য, উপজেলার করগাও ইউনিয়নের মুক্তাহার গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’ গ্রুপে বিবক্ত হয়। ২০১৯ সালের ১০ অক্টোবর সকালে ওই গ্রামের রত্নদীপ দাশ রাজু ও অনন্ত কুমার দাশের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধেঁ। এতে উভয় দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় ১৫ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছিল। এরমধ্যে ঘটনার ৯০ দিন পর চিকিৎসারত অবস্থায় আহত অনুময় দাশ মৃত্যুর খোলে ঢলে পড়েন। এ ঘটনায় নবীগঞ্জ থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। কপিল দাশ নামের এক ব্যক্তি ৩২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় ঘটনার সময় উপস্থিত না থাকার পরও ইউপি আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শৈলেন চন্দ্র দাশকে গ্রাম্য দলাদলি ও প্রতিহিংসায় ষড়যন্ত্র মুলকভাবে আসামী করা হয়। পরবর্তীতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় তার বিরুদ্ধে চার্জসীট প্রদান করা হয়। এছাড়া অনুময় দাশ হত্যা মামলায় রত্নদীপ দাশ রাজুসহ প্রতিপক্ষের লোকদের বিরুদ্ধে মামলা করে নিহতের ভাই। দীর্ঘদিন পর ওই মামলায় রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) শৈলেন দাশসহ ৮ জন আসামী বিজ্ঞ আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। বিজ্ঞ বিচারক ১ জনের জামিন মঞ্জুর করলেও বাকী ৭ জনকে কারাগারে প্রেরন করেছেন। এদিকে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী শৈলেন দাশ ওই মামলায় হাজতে যাওয়ার খবরে এলাকায় প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এলঅকাবাসীর দাবী এ ঘটনায় ষড়যন্ত্র মূলকভাবে শৈলেন দাশকে আসামী করা হয়েছে। তারা দ্রুত তার জামিনের আহ্বান জানান।