নবীগঞ্জে সাংবাদিক আজাদের পরকীয়া অতঃপর বিয়ের স্বীকারোক্তি

ফরজুন আক্তার মনি, (সম্পাদক ও প্রকাশক)। হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার জাতীয় পুরুষ্কার প্রাপ্ত দাবিদার দৈনিক সমকাল নবীগঞ্জ প্রতিনিধি আহমেদ আজাদের পরকীয়া এখন টক অবদ্যা টাউন। তার পরকিয়ায় ধরাশায়ী এবং বিয়ের খবর নিশ্চিত করেন দ্বিতীয় স্ত্রীর বাবা মোঃ কাজল মিয়া।

জানা যায়,নবীগঞ্জ উপজেলার ১০ নং দেব পাড়া ইউনিয়নের সীট ফরিদ গ্রামের মৃত জব্বার মিয়ার পুত্র এম এ আহমদ আজাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দীর্ঘদিন যাবৎ নিজেকে জাতীয় পুরুষ্কার প্রাপ্ত সাংবাদিক দাবি করে আসছে।এ বিষয়ে হবিগঞ্জের সিনিয়র সাংবাদিক গণের সাথে কথা বললে,তারা জানান, নবীগঞ্জের কোনো সাংবাদিক জাতীয় পুরুষ্কার পেয়েছে আমাদের জানা নেই। তার অবৈধ ক্ষমতায় জিম্মি সাধারণ মানুষ। চলতি মাসে আহমদ আজাদের দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ নিউজ টিভি একটি প্রতিবেদন তৈরির জন্য এলাকার লোকজনের সাথে যোগাযোগ করলে, জানাযায়,বছর খানেক আগে একই ইউপির দক্ষিণ দৌলতপুর গ্রামের কাজল মিয়ার মেয়ে লিপি বেগমের সঙ্গে পরকীয়া ধরাশায়ী হন আহমদ আজাদ।আলোচিত ঘটনা সালিসি মাধ্যমে সমাধান হয়।চলতি মাসে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। একাধিক সূত্র জানায়,আহমেদ আজাদের দ্বিতীয় স্ত্রী লিপি বেগম মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলাধীন শেরপুরে বিয়ে হয়। সেখানে দীর্ঘদিন ঘরসংসার করার পর তাদের এক মেয়ে হয়। লিপি বেগম বর্তমানে মেয়ে নিয়ে বাপের বাড়িতে বসবাস করে। এক পর্যায়ে আহমদ আজাদের সাথে লিপি বেগমের অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরই মধ্যে আগের স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। অনেক আলোচনা সমালোচনার পর তারা এবার বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। ১ম স্ত্রী রাগ করে একমাত্র ছেলে হৃদয়কে নিয়ে বাড়ি থেকে চলে গেছে। এ ব্যাপারে দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ নিউজ টিভি আজাদের দ্বিতীয় শ্বশুর মোঃ কাজল মিয়ার সাথে কথা বললে, তিনি জানান আমার মেয়ে কে দীর্ঘদিন ধরে পছন্দ করতো আহমেদ আজাদ। দুজনের পছন্দেই চলতি মাসে এ বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। এ ব্যাপারে আজাদের ১ ম স্ত্রী মোছাঃ লায়লা আহমাদ রুনার সাথে কথা বলিলে এবং বিয়ের আগে রুনার অনুমতি নিয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ নিউজ টিভি কে জানান,আমি যখন এ বিষয়ে আপনাদের নিকট অভিযোগ দায়ের করিবো তখন বিস্তারিত সব জানাবো। এই মূহুর্তে কথা বলার মনমানসিকতা আমার নেই। এ ব্যাপারে জানার জন্য দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ নিউজ টিভি এম এ আহমদ আজাদ কে একাধিক বার ফোন করলেও ফোন রিসিভ করেনি।