শাহিন /মহসিন :- হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে সরকারি দুটি দপ্তরে দায়িত্ব পালন করে আসছেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগম।গত ২০১৯ সালে তার অফিসে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ছিল না।ছবির ফ্রেম ভেঙে ওয়াশরুমের কর্ণারে রাখা দেখে সাংবাদিক মনি প্রতিবাদ ও সরকারি দুটি দপ্তরে দায়িত্ব পালন উল্লেখের তথ্য মিলেছে।দুটি পদ ক্ষমতায় রাখার লালসে আসল সত্য গুম করিতে তাকে ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যে বানোয়াট মামলায় কারাগারে পাঠিয়ে ধাপে ধাপে নির্যাতনের তথ্য মিলেছে।কারাগার সহ বিভিন্ন জায়গায় তাকে খুনের চেষ্টার তথ্য মিলেছে।নাজমা বিএনপির কর্মী হলেও সরকার দলের কিছু ব্যক্তি ও কিছু আমলাদের সাথে সুসম্পর্ক রেখে দাপটে দুটি দপ্তরে দায়িত্ব পালন সহ তার লোক দিয়ে মনি কে হামলা মামলা ও খুনের চেষ্টার তথ্য মিলেছে।প্রাণ রক্ষা ও নির্মম ঘটনার বিচার চেয়ে মনি বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে অভিযোগ করিলেও তার কোন সুরাহা না হওয়ার তথ্য মিলেছে।থানায় আটক রেখে নাজমা ও তার গ্রুপের অপরাধের শতাধিক ডকুমেন্টস মোবাইল ও কলম ভিডিও ক্যামেরা জব্দে তথ্য গুমের সন্ধান মিলেছে।সরকারি দুটি দপ্তরে দায়িত্ব পালনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে লিখিত অভিযোগও রয়েছে এবং অভিযোগ ঝুলে থাকার তথ্য মিলেছে।
গোপন সূত্র:-সাংবাদিক মনি কে অমানবিক নিষ্ঠুর নির্যাতনের তথ্য জানান।তার সাথে ঘটে যাওয়া আসল সত্য সরকার দলীয় কিছু ব্যক্তি ও কিছু কর্মকর্তার সহযোগিতায় ঘটনাটি নাজমা গুম করেন।আসল সত্য ছিল ২০১৯ সালে নাজমা বেগমের অফিসের ওয়াশরুমে মনি প্রস্রাব করার জন্য ঢুকে দেখেন,জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ছবির ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবির ফ্রেম ভেঙে কর্ণারে রাখা।সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ছবি অফিসে রাখার কথা বলতেই তাকে অপমান করেন।তারপর নাজমার বন্ধু এম এ আহমেদ আজাদ তার ফেইসবুক আইডি থেকে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান কে কটুক্তি করে পোস্ট দেয়।তার লেখা স্কীনশট দিয়ে মনি তার ফেইসবুক আইডিতে প্রতিবাদ ও সরকারি দুটি দপ্তরে দায়িত্ব পালন উল্লেখ করেন।নাজমা ও তার গ্রুপ ক্ষেপে মনি ও তার মা’কে কটুক্তি করে ফেইসবুকে লেখালেখি করেন,যুক্ত হন সাবেক মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সেলিনা পারভীন।উল্লেখ্য সেলিনা পারভীনের স্বামীর বিরুদ্ধে অন্য সাংবাদিক সহ মনি কাজের মেয়েদের সঙ্গে শ্লীলতাহানির অভিযোগের সংবাদ প্রকাশ করেন।অবশেষে অন্যদের সঙ্গে সেলিনা পারভীন সুসম্পর্ক গড়ে তুলে মনি’র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে যোগ দেন।
মনি নিরুপায় হয়ে হবিগঞ্জ আদালতে একটি মানহানীর মামলা দায়ের করেন,যাহার সিআর মামলা নং ৪৪২/১৯।মামলার খবর শুনে মনি কে খুনের জন্য বেপরোয়া হয় আজাদ গ্রুপ।সে প্রাণের ভয়ে বাহুবল আশ্রয় নেয়।দুদিন পর বিষয়টি জানাতে নবীগঞ্জ থানায় আসলে,তাকে আটক করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মোবাইল ও কলম ভিডিও ক্যামেরা জব্দ করে কারাগারে পাঠানো হয়।কারাগার থেকে বের হয়ে মনি কে ব্ল্যাকমেইলে মামলা দায়েরের পর্যাপ্ত পরিমাণ ডকুমেন্টস নবীগঞ্জ থানায় দাখিল করলেও তার ডকুমেন্টস নেওয়া হয়নি।এমনকি সাইবার ট্রাইবুনালেও দাখিল করার সুযোগ সে পায়নি।মোবাইল ও কলম ভিডিও ক্যামেরায় তাদের অপরাধের শতাধিক ডকুমেন্টস সহ জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ছবির ফ্রেম ভেঙে ওয়াশরুমের কর্ণারে রাখার ভিডিও ফুটেজ ছিল।মোবাইল ও কলম ভিডিও ক্যামেরা জব্দে তথ্য গুম করে,তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে সত্য কে ঢেকে রাখেন।ডকুমেন্টস ফিরিয়ে আনতে আদালতে দরখাস্ত করিলে তদন্ত কর্মকর্তা সমিরন দাশের বাঁধায় আটক থাকে।কারাগার থেকে বের হয়ে নিজ কর্মে যুক্ত হয়ে আউশাকান্দি অরবিট ডায়াগনস্টিক সেন্টার ভাংচুর ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ কালে আজাদ গ্রুপ মনি কে অপহরণের উদ্দেশ্যে সেন্টারের বারান্দা থেকে টেনে শ্লীলতাহানির ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে নবীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু হয়,যাহার নবীগঞ্জ থানা মামলা নং ৫/২০। জিআর নং ৯০/২০।তাদের প্রভাবপ্রতিপত্তির জন্য থানাপুলিশ আসামি গ্রেফতার করতে ব্যর্থ।গত উপজেলা নির্বাচনে গোপন সূত্রে তথ্য জেনে তার নির্বাচনী প্রার্থীতা বাতিল হয়।আপিলে সাবেক ডিসি মোঃ মুরাদ আলী বলেছিলেন নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের পদ ত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করিতে।শর্ত মানলেও পদ ত্যাগ না করে অংশ নিয়ে বিজয়ী হয়ে দুটি দপ্তরই ঠিক রেখেছেন।বিশাল এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ে একটি সহজ সরল মেয়ে মনি’র জীবন মৃত্যুর ঝুঁকিতে।নাজমার শ্বশুর ও মামার গোষ্ঠী প্রভাবশালী থাকায় ভয়ে মানুষের মুখ বন্ধ।তার স্বামী বাসদ নেতা ও তিনি বিএনপির কর্মী হলেও সরকারি উচ্চ পদস্থ কিছু কর্মকর্তা ও আওয়ামিলীগের কিছু দায়িত্বশীল ব্যক্তির সঙ্গে সুসম্পর্ক।দুটি দপ্তরে দায়িত্ব পালনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে লিখিত অভিযোগও রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী :-প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাংবাদিক মনি সহজ সরল মনের বিচক্ষণ ব্যক্তি।তাকে অমানবিক নিষ্ঠুর নির্যাতন করা হয়েছে তা বিশ্বে বিরল ইতিহাস।বিশ্বের কোথাও কারো সঙ্গে এ নির্মম আচরণ হয়নি।নাজমার স্বামী বাসদ নেতা,সে বিএনপির কর্মী,তার শ্বশুর ও মামার গোষ্ঠী প্রভাবশালী এবং সরকার দলীয় কিছু ব্যক্তি,কিছু উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে সুসম্পর্ক।তাই দাপটে একাই দুটি দপ্তরে দায়িত্ব চালিয়ে যান।
সাংবাদিক ফরজুন আক্তার মনি:- এ বিষয়ে মনি জানান,আমার সঙ্গে যে অমানবিক নিষ্ঠুর আচরণ হয়েছে হবিগঞ্জের কেউ পাশে দাঁড়াননি।আসল সত্য গোপন করে আমার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানহানিকর বক্তব্য ও মিথ্যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।ক্ষমতার দাপটে আমার বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে অবৈধভাবে রেজুলেশন করা হয়েছে।সাংবাদিকরা আমার বক্তব্য নেয়নি।এ নির্মম স্মৃতি ভুলার নয়।আমাকে কারাগারেও খুনের চেষ্টা হয়েছে।আমি মৃত্যুর ঝুঁকিতে ও নিরাপত্তাহীন।তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিলে তাদের পক্ষে নথিভুক্ত রাখেন।অবশেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নির্মম ঘটনা লিখিত ভাবে দাখিল করেছি।আমি বিচার চাই,সত্যতা যাচাই করে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত বিচার নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি