ফরজুন আক্তার মনি (সম্পাদকীয়):- একদিন আদালত প্রাঙ্গণে এক নারীকে কাঁদতে দেখেছিলাম।কাছে গিয়ে কারণ জানতে চেয়ে জানলাম,তার মামলা টাকার নিকট পরাজিত।সে নাকি আইনজীবী কে চাহিদা মোতাবেক টাকা দিতে পারেনি,তাই মামলা খারিজ।তার বিচার নিরবে নিভৃতে কেঁদে ভেসে গিয়েছে।শুনে আমার বিবেক কান্না শুরু করে এবং প্রতিজ্ঞা করল,আইনজীবী হয়ে ঐসব নিরীহ মানুষের পাশে দাঁড়াবে।গাড়ি এক্সিডেন্টে শরীরে অসংখ্য অপারেশন,পড়াশোনা করা ঝুকিপূর্ণ।আত্মীয় স্বজনরা জানলে মানা করার ভয়ে সবার অজান্তে একটি কলেজে ভর্তি হই।গত২০২২ সালে পরীক্ষার ১৮ দিন আগে আমাকে কারাবন্দী রাখার ফলে পরীক্ষা দিতে পারিনি।গত ২০২৩ সালে পরীক্ষার পাঁচ দিন আগে এক সমাবেশে পিছন থেকে ধাক্কা দিয়ে ড্রেনে ফেলে পায়ে আঘাত করা হয়েছে।পায়ে প্রচন্ড ব্যথা নিয়ে পরীক্ষা সেন্টারে গিয়েছি।এমন শরীরে পড়াশোনা আমার আত্মীয় স্বজন চাননি,এমনকি আমারও ইচ্ছে ছিল না।শুধু বিবেকের তাড়নায় মানবসেবার লক্ষ্যে এত বড় ত্যাগ স্বীকার করেছি।এখানে আমার বা আত্মীয় স্বজনের কোন স্বার্থ জড়িত নয়।শুধু লক্ষ্য উদ্দেশ্য ছিল ঐসব মানুষ কে সহযোগিতা করা।এই সহযোগিতার লক্ষ্য উদ্দেশ্য কেও নির্যাতন নিপীড়ন করা হয়েছে।এ সমাজের বিবেক যেন অকুল সাগরে তলিয়ে গিয়েছে।অপরাধীদের আশ্রয় প্রশ্রয় ও বাহ বাহ দিয়ে অপরাধী ও দুর্নীতিবাজ গ্রুপ কে শক্তিশালী করে যাচ্ছে।আল্লাহর রহমতে গতকাল গত সেমিস্টারের পরীক্ষা কমপ্লিট করে পরের সেমিস্টারে ভর্তি হলাম।*( আলহামদুলিল্লাহ) *
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি