প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের শহীদ সোলেমান হলে গঙ্গা পদ্মা মেলবন্ধন সাহিত্য ও সংস্কৃতি জাঁকজমকপূর্ণ বিরাট এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দিকী বলেছেন, সাহিত্য ও সংস্কৃতি মানুষের সৃজনশীলতাকে যেমন বিকশিত করে তেমনিভাবে সাহিত্য ও সংস্কৃতির মেলবন্ধন দুই দেশের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করে, দুদেশের মেলবন্ধনে আমি খুবই আনন্দিত। ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের গভীরতা বিশাল। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান বাংলাদেশ কখনো ভুলবে না। প্রায় ১ কোটি শরনার্থীকে আশ্রয় দিয়েছিল।শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়েছেন।ভারতের অনেক সৈনিকরা মুক্তিযুদ্ধে তাদের জীবন উৎসর্গ দিয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ পাকিস্তানি দোসরদের বিরুদ্ধে যে স্বাধীনতা অর্জন করেছে সেখানে ভারতের অংশগ্রহণও প্রশংসনীয়।ভারত বন্ধু প্রতীম রাষ্ট্রের মতোই বাংলাদেশকে সহযোগিতা করেছে।এখনো সেই সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। দুই দেশের এই সম্পর্ক চলমান থাকলে ভারত যেমন এগিয়ে যাবে তেমনিভাবে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হবে।কোনো বাধাই আমাদের অগ্রযাত্রাকে দমিয়ে রাখতে পারবে না।আজকের এই মেলবন্ধন দুই দেশের সংস্কৃতির বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে।ভারত থেকে যারা এসেছেন আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।আয়োজকবৃন্দকেও ধন্যবাদ।আপনারা এভাবেই বারবার এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করুন তাহলে নতুন প্রজন্ম দুই দেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবে।এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনে যদি আমার পক্ষ থেকে কোন সহযোগিতার প্রয়োজন হয়।আমি অবশ্যই আপনাদেরকে সহযোগিতা করবো।এভাবে দুই দেশের সংস্কৃতি বহমান থাকুক।

গত ১৮, ফেব্রুয়ারী বিকাল ৩ ঘটিকায় কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের শহীদ সোলেমান হলে গঙ্গা পদ্মা মেলবন্ধন সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিলেট উদ্যোগে আয়োজিত গঙ্গা পদ্মা মেলবন্ধন সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গঙ্গা পদ্মা মেলবন্ধন সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন উদযাপন পর্ষদের আহবায়ক ড.এম শহীদুল ইসলাম এডভোকেটের সভাপতিত্বে ও আন্তর্জাতিক রবীন্দ্র চর্চা কেন্দ্র সিলেটের সভাপতি এডভোকেট মো: মামুন হোসেন, কলকাতার বাচিকশিল্পী ও উপস্থাপক নন্দিনী লাহার এবং আন্তর্জাতিক রবীন্দ্র চর্চা কেন্দ্র সিলেটের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক রনদ্বীপ চৌধুরী লিংকনের
পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সহকারী ভারতীয় হাইকমিশনার শ্রীমতি শকুন্তলা কালরা। সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন সহকারী ভারতীয় হাইকমিশন সিলেটের দ্বিতীয় সচিব (প্রেস, তথ্য, সংস্কৃতি ও শিক্ষা) শ্রী মানস কুমার মুস্তাফী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও গান্ধী ট্রাস্ট বাংলাদেশ এর ট্রাস্টি এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, পশ্চিমবঙ্গের বর্ষিয়ান নাট্যকর্মী ও বাচিকশিল্পী শ্রী সত্যকাম বাগচী, আগরতলার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মানিক দেব, গঙ্গা পদ্মা মেলবন্ধন আগরতলার সভাপতি ডা: ভোলানাথ সাহা।আলোচক বৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গঙ্গা পদ্মা মেলবন্ধনের প্রতিষ্ঠাতা অজন্তা দেব বর্মণ, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি রজত কান্তি গুপ্ত, গঙ্গা পদ্মা মেলবন্ধন সিলেটের সভাপতি বিকাশ কান্তি দাস, আন্তর্জাতিক রবীন্দ্র চর্চা কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় সদস্য শিশির রঞ্জন সরকার, ইউএস বাংলা আন্তর্জাতিক সাহিত্য ফোরামের আবু সালেহ আহমদ, গঙ্গা পদ্মা মেলবন্ধন সিলেটের সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি।

অতিথি ছিলেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা: মো: মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল,সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মাহফুজুর রহমান।

অনুষ্ঠানে ভারত ও বাংলাদেশ থেকে শিল্পীবৃন্দ সাংস্কৃতিক পর্ব নৃত্য, গান, আবৃত্তি ও নাটকে অংশগ্রহণ করেন তারা হলেন গঙ্গা পদ্মা মেলবন্ধনের সহসম্পাদক সুভাষ সূত্রধর, সঙ্গীত শিল্পী রঞ্জনা কর্মকার, বাসবী দেব পাল চৌধুরী, নিতাই বিশ্বাস, মৌসুমী দেব রায়, শ্রীমতি নন্দা সোম, রত্নাগন চৌধুরী, নির্মূল কুমার বিশ্বাস, নন্দিত তবলিস্ট তমাল সেন গুপ্ত, নৃত্যশিল্পী ড.সুব্রত রায়, কবি ও লেখক সুজাতা দাস, সমাজকর্মী দীপা বর্মা, বাউল বিরহী কালা মিয়া, মন্টুলাল আচার্য্য, অর্পিতা আচার্য্য, হাবিবা আক্তার ঝুমু, মুক্তাক্ষর সিলেটের দলগত আবৃত্তি, মৌমিতা জান্নাত মৌ,ক্রিসেন তিমান,দেবস্মিতা দাস, অর্নিবাণ দাস মুগ্ধ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রভাষক মিন্টু চন্দ্র দাস, শিক্ষক যিশু তোষ দাস, জাহাঙ্গীর আলম, অর্পিতা দাস, প্রভাষক লিয়াকত আলী, সৌমিত্র চক্রবর্ত্তী, রাহামানা সাব্বির চৌধুরী, সেলীনা চৌধুরী সহ প্রায় চারশত সংস্কৃতি প্রিয় মানুষ। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলওয়াত করেন ফারুক আহমেদ ও পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন ক্ষুদে শিল্পী দেবজ্যোতি আচার্য্য শায়ন। শতকণ্ঠে দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনা করা হয়। অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দ ও শিল্পীদের সম্মাননা ক্রেস্ট এবং অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকলকে গঙ্গা পদ্মা মেলবন্ধন সাহিত্য সংস্কৃতি সম্মেলনের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয় এবং উক্ত সংগঠন এর আজীবন সদস্য কবি ও সাংবাদিক ফরজুন আক্তার মনিও একটি সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন।