স্টাফ রিপোর্টার: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের সাংবাদিক ফরজুন আক্তার মনি মাথায় প্রাপ্ত হয়ে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
জানা যায়, নানা অপরাধ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কটুক্তি ও অসম্মানের প্রতিবাদ করেছিলেন ফরজুন আক্তার মনি।এরই জেরে ২০১৯ সাল থেকে হামলা মামলা দিয়ে হয়রানি ও নির্যাতন নিপীড়ন করে যাচ্ছে প্রতিপক্ষ।প্রতিপক্ষের সরদার হলেন নবীগঞ্জ পৌরসভাস্থ শান্তিপাড়া নিবাসী চৌধুরী ফয়সল শোয়েব চৌধুরীর স্ত্রী নাজমা বেগম ও সীট ফরিদপুর গ্রামের মৃত আবুল জব্বারের পুত্র এম এ আহমদ আজাদ। গত ২০১৯ সালে নাজমা ও আজাদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কটুক্তি ও অসম্মান করেন।সাংবাদিক মনি তার প্রতিবাদ করেন।এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করেছেন।এরই জেরে মনি কে নানা ভাবে অসম্মান হয়রানি হামলা নির্যাতন নিপীড়ন করা হয়।সে অতিষ্ট হয়ে হবিগঞ্জ জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মানহানীর মামলা দায়ের করেন।মামলা করেও মনি তাদের হাত থেকে রক্ষা পাননি। তাদের অত্যাচার নির্যাতন নিপীড়ন হামলা মামলা দিয়ে হয়রানি দ্রুত বেড়ে উঠে। ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যে বানোয়াট মামলায় বারবার তাকে কারাবন্দী হতে হয়েছে। গত উপজেলা নির্বাচন প্রচারণা চলাকালীন অবস্থায় আজাদ কতৃক সাইবার ট্রাইবুনালের মামলায় মনি’র বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারী হয়।সে ওয়ারেন্টের খবর পেয়ে জামিনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়াবস্থায় তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছে।যাবতীয় ভীতি অতিক্রম করে গত ২০ মে সাইবার আদালতে আত্মসমর্পণ করিলে তার জামিন মঞ্জুর করেন মাননীয় আদালত।হত্যা পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত সন্ধান মেলে একজন সরকারি কর্মচারী।তার বিরুদ্ধে বিচার কাজ চলমান। গতকাল ৮ জুলাই মামলার হাজিরার তারিখ থাকায় ৭ জুলাই মনি সিলেট এক আত্মীয়ের বাসায় অবস্থান করেন।সকাল ৯:২০ মিনিটে সিলেট সাইবার আদালতের পার্শ্ববর্তী এলাকা বন্দর সিএনজি থেকে নামতেই পিছন দিক থেকে তার মাথায় লাটি দিয়ে আঘাত করে একজন লোক দৌড়ে চলে যায়।মনি জানায়,সে ৬/৭ মিনিট কথা বলতে ও চোখে দেখতে পাননি।তার মাথার মধ্য অংশ অচেতন লাগে। সাইবার আদালতে হাজিরা দিয়ে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে গেলে ডাক্তার ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিলে সে ভর্তি হয়।তার সিটি স্ক্যান করে চিকিৎসা শুরু করা হয়েছে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি