হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে -সিলেট মহাসড়কে নবীগঞ্জের রুস্তুমপুর টোল প্লাজায় একটি প্রাইভেট কার নিয়ে ৫০ কেজি গাজাঁ বাজারজাত করার খবর পেয়ে র্যাব-৯ এর একটি টিম আনসার ভিডিপি’র এপিসি ও নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর বাসার নিরাপত্তাকর্মী জুয়েলসহ ৩ জনকে আটক করেছে। মঙ্গলবার (২০ জুলাই) রাত ১০ টার দিকে তাদেরকে আটক করা হয়। এ সময় গাড়ী তল্লাশী করে ৫০ কেজি গাজা উদ্ধার করা হয়। পরে বুধবার (২১ জুলাই) সকালে গাজা ভর্তি গাড়ীসহ আটককৃতদের থানায় নিয়ে আসা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন শায়েস্তাগঞ্জ থানার নুরপুর গ্রামের মর্তুজ আলীর ছেলে এবং আনসার ভিডিপি এপিসি এবং নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসভবনের নিরাপত্তায় নিয়োজিত গার্ড জুয়েল মিয়া (৩২), বাহুবল থানার দৌলতপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে মোঃ আব্দুল্লাহ (৩৪) ও চুনারুঘাট থানার বানারগাওঁ গ্রামের ফিরোজ আলীর ছেলে কামাল মিয়া (৩০)। তাদের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা হয়েছে।
পুলিশ সুত্রে জানাযায়, মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে র্যাব-৯ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জের রুস্তুমপুর টোল প্লাজায় সাদা রংয়ের একটি টয়েটা প্রাইভেট কার আটক করেন। গাড়ী তল্লাশী করে ৫০ কেজি গাজা উদ্ধারসহ গাড়ীতে থাকা উল্লেখিত লোকদের আটক করা হয়। পরে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সারাদেশে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের বাসভবন ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় আনসার সদস্য নিয়োগ দেয়া হয়। সেই সুবাধে হবিগঞ্জ জেলা আনসার ভিডিপি কার্যালয় থেকে এপিসি জুয়েল মিয়াসহ কয়েকজন আনসার সদস্য নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসভবন ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় নিয়োগ দেয়া হয়। মঙ্গলবার সকালে উক্ত জুয়েল মিয়া কাউকে কিছু না বলেই কর্মস্থল নবীগঞ্জ নির্বাহী অফিসারের বাসভবন থেকে চলে যান। ওই দিনই দিবাগত রাতেই গাজাসহ র্যাবের হাতে আটক হয় জুয়েলসহ ৩ জন।
প্রেরক
এটিএম সালাম
দৈনিক যায়যায়দিন
নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধি
মোবাইল ঃ ০৭১৪ ৪৮৪৫৪৮
তারিখ ঃ ২২-০৭-২০২
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি